বলিউডের ‘গিভ অ্যান্ড টেক’ প্রথা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন অভিনেত্রী নার্গিস ফাখরি। তিনি জানিয়েছেন, পরিচালকদের শয্যাসঙ্গী হননি বিধায় তাকে বিভিন্ন সিনেমা ও প্রজেক্ট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন অভিনেত্রী।

নার্গিসের জন্ম ও বেড়ে ওঠা আমেরিকায়। অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকে তিনি বলিউডে কাজ করতে আসেন। ২০১১ সালে রণবীর কাপুরের বিপরীতে ‘রকস্টার’ সিনেমার মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। এই সিনেমায় অভিনয় করে রাতারাতি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন নার্গিস। এরপর বেশ কিছু সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। কিন্তু সেভাবে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি।

নার্গিসের দাবি, নগ্ন হওয়া কিংবা পরিচলকের সঙ্গে বিছানায় যাওয়ার মতো একাধিক প্রস্তাব এসেছিল তার কাছে। কিন্তু নৈতিকতার দিক বিবেচনা করে তিনি সেসব প্রস্তাবে সাড়া দেননি। আর এ কারণেই বহু সিনেমায় কাজের ডাক পেয়েও করা হয়নি তার।

নার্গিস বলেন, ‘আমি খ্যাতির জন্য পাগল নই। আমি নগ্ন হতে পারব না। কোনো পরিচালকের বিছানাসঙ্গী হতে পারব না। এ কারণে অনেক সিনেমার কাজ হারিয়েছি আমি। এটা সত্যিই হৃদয় বিদারক। আমার একটা আদর্শ আছে। কিন্তু খারাপ লাগে এটা ভেবে যে, এসব করিনি বলে আমাকে বারবার সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’

বলিউডের সিনেমায় সরাসরি সঙ্গমের দৃশ্য নেই বলেই এখানে কাজ করতে এসেছিলেন নার্গিস ফাখরি। কিন্তু মডেলিংয়ে সেটার বালাই নেই। নগ্ন হয়ে কিংবা টপলেস হয়ে প্রায়ই শুট করতে হয়। এ বিষয়ক একটি অভিজ্ঞতা জানিয়ে নার্গিস বলেছেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তিনি যখন মডেলিং করছিলেন, তখন তার কাছে একটি ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে এই ধরনের ফটোশুটের প্রস্তাব আসে। কিন্তু ম্যাগাজিনটি জনপ্রিয় হওয়া এবং মোটা অংকের সম্মানী দেওয়ার শর্তেও কাজটি করতে রাজি হননি নার্গিস।

আপাতত রূপালি জগৎ থেকে দূরে রয়েছেন নার্গিস ফাখরি। ২০২০ সালে ‘তরবাজ’ সিনেমায় সর্বশেষ তাকে দেখা গিয়েছিল। তবে নতুন কোনো সিনেমায় যুক্ত হননি আর। অবসরের এই সময়টা তিনি উপভোগ করছেন প্রেমিক জাস্টিনের সঙ্গে। যেটা তার ইনস্টাগ্রাম ওয়ালে চোখ রাখলেই বোঝা যায়।

কেআই