জনপ্রিয় বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুত গেল বছরের জুন মাসে নিজের ফ্ল্যাটে আত্মহত্যা করেন। তার মৃত্যু নিয়ে রহস্যের শেষ নেই। এখনও সব রহস্য উদঘাটন হয়নি। সুশান্তের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল তদন্ত। সেই সময়ই সামনে আসে বলিউডের মাদক কাণ্ড। সুশান্তকে মাদক সরবরাহ করার অভিযোগ ওঠে তার প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে।

অভিনেতার মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত রিয়া চক্রবর্তী- এমন সন্দেহেই তাকে গ্রেফতার করেছিল ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। তবে শুধু রিয়া নন, গ্রেফতার করা হয়েছিল তার ভাই শৌভিক চক্রবর্তীসহ আরও প্রায় ২০ জনকে। এক মাস জেলে থাকার পর অবশ্য জামিনে ছাড়া পান রিয়া ও তার ভাই। এনসিবির পাশাপাশি সুশান্তের মৃত্যু রহস্যের তদন্ত শুরু করে সিবিআই। রিয়াকে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী করে সুশান্তের পরিবার।

পাটনা পুলিশ স্টেশনে রিয়া, তার বাবা-মা ও ভাই শৌভিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সুশান্তের বাবা কে. কে. সিং। একটি মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উঠে আসে একাধিক ইস্যু। সুপ্রিম কোর্টের আদেশে গত বছর অগাস্ট মাসে তদন্তের দায়িত্ব নেয় সিবিআই। তবে সিবিআই ছাড়াও এ মৃত্যু ঘিরে আরও বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে তদন্ত চালায় ইডি ও এনসিবি।

নিজের মোবাইল ও অ্যাকাউন্ট ফেরত পাওয়ার আবেদনে রিয়া লিখেছিলেন, ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকেই তিনি নিজের খরচ চালান। তিনি একজন অভিনেত্রী, তার লাইফস্টাইলের জন্য অনেক টাকার দরকার। পাশাপাশি তার ভাইয়েরও দেখাশোনা করেন তিনি। অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপদে পড়েন তিনি। ১০ মাস বাজেয়াপ্ত থাকার ফলে তার প্রভাব পড়ছে রিয়ার জীবনযাপনেও। তবে এ আবেদনের বিরুদ্ধে আপত্তি তোলে এনসিবির আইনজীবী। বাজেয়াপ্ত করা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে গেলে ও তার মোবাইল ফেরত দিয়ে দিলে তার প্রভাব পড়তে পারে এই মামলায়। এমনই দাবি করেন এনসিবির আইনজীবী। যদিও শেষ পর্যন্ত রিয়ার পক্ষেই রায় দেয় আদালত।

সূত্র: জিনিউজ

এসএসএইচ