মাদক মামলায় বলিউড কিং শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান ও অপর দুজন আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রমাণ মেলেনি। আরিয়ানের জামিনের নির্দেশনায় বম্বে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণে এ কথা বলা হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের কাছে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য মাদক পাওয়া গেছে, তার অর্থ এই নয় যে তাদের অপরাধের ইচ্ছাও ছিল।

পাশাপাশি ভারতের কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (এনসিবি) যে জবানবন্দি জমা দিয়েছিল, তা নিয়ে আদালত বলেছে, পুলিশের নেওয়া জবানবন্দির কোনো আইনি ভিত্তি নেই। তা কেবলমাত্র তদন্তের প্রয়োজনে ব্যবহার হতে পারে। জামিনের আদেশে বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি লিখেছেন, আরিয়ান খানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে এমন কিছু আপত্তিকর পাওয়া যায়নি, যার উপর ভিত্তি করে বলা যায়, আরবাজ ও মুনমুনের সঙ্গে মিলে আরিয়ান কোনো ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করছেন। আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচা একই প্রমোদতরীতে ছিলেন। কেবলমাত্র এ যুক্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগের ভিত্তি নেই বলেও রায়ে লিখেছে হাই কোর্ট।

গত ২ অক্টোবর মুম্বাই উপকূলে গোয়াগামী একটি প্রমোদতরী থেকে আরিয়ান, মুনমুন, আরবাজসহ একাধিক ব্যক্তিকে আটক করেন এনসিবির তৎকালীন জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে। পর দিন তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। নিম্ন আদালতে একাধিকবার জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর বম্বে হাই কোর্টের যান আরিয়ানরা। সেখানে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান শাহরুখ-তনয়। ৩০ অক্টোবর বাড়ি ফেরেন তিনি। তারপর থেকে প্রতি শুক্রবার এনসিবি কার্যালয়ে হাজিরা দিচ্ছেন আরিয়ান।

সেই জামিনের মামলারই আদেশ প্রকাশ করল বম্বে হাই কোর্ট।

সূত্র: আনন্দবাজার

এসএসএইচ