বাঙালি মেয়ে বলে কথা। পতৌদিদের নবাব বংশের বউ হোন আর পৃথিবীর যেখানেই যান না কেন বাংলা কি সহজে মুছে যেতে পারে? 

না, পারে না। অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের ক্ষেত্রেও মুছে যায় বাংলা। আর তাই তো আজও রেগে গেলে মাতৃভাষাকেই হাতিয়ার করেন তিনি।  

সত্যজিৎ রায়ের ‘দেবী’র অন্দর মহল থেকে এই তথ্য ফাঁস করেছেন তারই মেয়ে, অভিনেত্রী সোহা আলি খান। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সোহা জানিয়েছেন, ছেলে সাইফের সঙ্গে ঝগড়া হলেই শর্মিলা নিমেষে বাঙালি মা! রাগ থেকে অভিমানের সব হিসেবনিকেশ মেটান খাঁটি বাংলায়! 

সোহার কথায়, কে বলে বাংলা মিষ্টি ভাষা! আমাদের কাছে কিন্তু খুবই ভয়ের ভাষা। বাংলায় কথা বলছে মানেই মা রেগে আছেন। দাদার সঙ্গে বাংলায় তুমুল ঝগড়া হবে তারপর। আর মিটমাট করাতে আসরে নামতে হবে আমাকে! দু’জনেই যে আমায় ফোন করে সবটা আমায় বলবে! 

পতৌদি বংশের নবাব, ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মনসুর আলি খান পতৌদিকে বিয়ে করে স্থায়ীভাবে মুম্বাইয়ের বাসিন্দা হন ঠাকুরবাড়ির বংশধর শর্মিলা। সত্যজিতের ‘অপুর সংসার’, ‘দেবী’, ‘নায়ক’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’র মতো একাধিক বাংলা ছবির নায়িকা। তারপর বলিউডেও অজস্র ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। যাঁর নিষ্পাপ সৌন্দর্যে, বাঙালি টানে হিন্দি উচ্চারণের সংলাপে আজও বুঁদ দর্শক।

হিন্দি ছবির জনপ্রিয় নায়িকা এখনও যে মনেপ্রাণে বাঙালি, ফাঁস করে দিলেন তারই মেয়ে সোহা।  আনন্দবাজার। 

এনএফ