দু’দিন আগেই শপথ গ্রহণ করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদে বসেন জায়েদ খান। শুক্রবার (৪ মার্চ) তাকে শপথবাক্য পাঠ করান সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। শর্ত মোতাবেক তিনি আদালতের কাগজ দেখিয়ে শপথ নিয়েছেন বলে দাবি করেন।

তবে রোববার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় জায়েদের প্রতিপক্ষ নায়িকা নিপুণ জানিয়েছেন, জায়েদ ভুয়া কাগজ দেখিয়ে শপথ নিয়েছেন। এরকম কোনো কাগজ আদালত থেকে দেওয়া হয়নি।

শুধু তাই নয়, জায়েদের পক্ষে হাই কোর্টের দেওয়া রায়ও স্থগিত করা হয়েছে রোববার। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এই আদেশ দেন। এরপরই এফডিসিতে ছুটে যান নিপুণ। গিয়ে শিল্পী সমিতির চেয়ারে বসেন।

সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন নিপুণ। তিনি জানান, চেয়ারের জন্য লড়াই করছেন না। তার যুদ্ধটা অপশিল্পীর বিরুদ্ধে। নিপুণের ভাষ্য, ‘চেয়ারটা নিয়ে কেনো এত যুদ্ধ? আমি কিন্তু প্রথম থেকেই বলেছি, আমি এই চেয়ারটা নিয়ে যুদ্ধ করছি না। আমার যুদ্ধটা আসলে একজন অপশিল্পীর বিরুদ্ধে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছিল, কোর্টের বারান্দায় বারান্দায় না ঘুরে আমি যেন অভিনয় করি। আমি এখনও কাজ করে যাচ্ছি। আমি খুব ভালো দুটি ব্যবসা চালাই। যখন আপনি আমাকে কোর্টে নিতে বাধ্য করেছেন, তখন আমি তো কোর্ট যাবোই। আমি গিয়েছি এবং আদালত থেকে ন্যায় বিচার পেয়েছি।’

এ সময় নিপুণের পাশে ছিলেন তার প্যানেল থেকে বিজয়ী চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। জায়েদ খান যে কাগজ দেখিয়েছিলেন, সেটা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আসলে ওই কাগজ ভুয়া ছিল। কাগজ দেখতে চেয়েছিলাম কিন্তু উনি কাউকে দেখাননি। কাগজটা সঠিক ছিল না বলে কাউকে জায়েদ খান দেখায়নি। ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইয়ার কাছে জানতে চেয়েছিলাম। উনি বলেছেন, কাগজ সঠিক কিনা জানেন না। তবে জায়েদ খান যে কাগজ দেখিয়েছেন সেটা আইন সিদ্ধ নয়।’

এদিকে গত ৫ মার্চ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮ সংগঠন এক হয়ে জায়েদ খানকে বয়কট করেছে। পরিচালক সমিতির প্যাডে লিখিত এক বিবৃতির মাধ্যমে তারা সিদ্ধান্তটি প্রকাশ করেন। জায়েদ জানিয়েছেন, এটা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।  

কেআই/আরআইজে