ঢাকা নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী-দোকানিদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। গত সোমবার (১৮ এপ্রিল) মধ্যরাতে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। এরপর রাত আইড়া পর্যন্ত চলে দুই পক্ষের হামলা-পাল্টা হামলা।

পরদিন মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা। তাদেরকে সামাল দিতে পুলিশও হিমশিম খায়। তবে শেষ পর্যন্ত দুপুর ১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

নিউ মার্কেট ও ঢাকা কলেজের এই সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন কামরাঙ্গীরচরের তরুণ নাহিদ হাসান। কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারিম্যানের কাজ করতেন তিনি। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে নিউ মার্কেট এলাকায় এসে দুই পক্ষের সংঘর্ষের মুখে পড়ে যান। বেধড়ক মারধরে জ্ঞান হারিয়ে অনেকক্ষণ পড়ে থাকেন রাস্তায়। এরপর এক ব্যক্তি নাহিদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আকস্মিক ও অনাকাঙ্ক্ষিত এই মৃত্যুতে শোকাহত সবাই। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন, সুষ্ঠু বিচারের দাবি তুলেছেন। সেই তালিকায় যুক্ত হলেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক ওমর সানীও। তিনি নাহিদ ও তার পরিবারের পক্ষ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

নাহিদের মৃত্যু নিয়ে ওমর সানীর প্রশ্ন, ‘এই দায়ভার কে নেবে? আমি বলি বাংলাদেশ নেবে। নেহায়েত গরিব বলে বিচার হবে না? আমি বোনটার (নাহিদের স্ত্রী) সাথে একমত, পরিবারের সাথে একমত, কেন বিচার হবেনা?’

নাহিদকে নিয়ে ওমর সানীর পোস্ট 

কেবল বিচার নয়, সরকারের কাছে নাহিদের পরিবারের জন্য সহযোগিতাও চেয়েছেন ওমর সানী। তার মতে, এই পরিবারকে স্বাবলম্বী করে দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সানী লিখেছেন, ‘রাষ্ট্রের উচিত এই পরিবারটাকে স্বাবলম্বী করে দেওয়া। এড়িয়ে যাবেন না রাষ্ট্র, কারণ আমরা যে রাষ্ট্রের প্রজা।’

স্ট্যাটাসের সঙ্গে ওমর সানী দুটি ছবি দিয়েছেন। একটিতে রয়েছে দেশের জাতীয় পতাকা, অন্যটিতে নিহত নাহিদের স্ত্রী ডালিয়া সুলতানার ছবি ও একটি মন্তব্য। সেখানে ডালিয়া বলেছেন, ‘আমরা গরিব বইলা কেউ বিচারের কথা কয় না। কিন্তু আমি ন্যয্য বিচার চাই। গরিব বইলা আমাগো বিচার থাকবো না, তা না।’

এদিকে নাহিদের মৃত্যুতে আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন তার বাবা। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে অজ্ঞাতনামা আসামিদের উল্লেখ করে নিউ মার্কেট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন তিনি।  

কেআই/আরআইজে