নায়িকারা নাকি বিয়ের পর শোবিজ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। আবার কেউ হয়ে যান অনিয়মিত। সংসার নিয়েই ব্যস্ত থাকেন তারা। এমন কথা ইন্ডাস্ট্রিতে আগে থেকেই প্রচলিত। যার উদাহরণও রয়েছে অনেক।

কিন্তু উল্টো ঘটনার উদাহরণও রয়েছে। যারা সংসার আর কাজ, দুটো একসঙ্গেই সামলেছেন। আর সেই তালিকায় রয়েছেন মাহিয়া মাহি। সিনেমায় অভিষেক থেকেই আলোচনায় চলে আসেন এই নায়িকা। দেশের পাশাপাশি টলিউড ইন্ডাস্ট্রিও মাতিয়েছেন তিনি। 

ঢালিউডে যখন নতুন নায়িকার সংকট, তখনই মাহির আগমন। গ্ল্যামার আর অভিনয় দিয়ে অল্প সময়ে ব্যাপক প্রশংসা পান তিনি। তাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি সিনেমা প্রযোজনা করেছিল জাজ মাল্টিমিডিয়া।

মাহিয়া মাহি

ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রিতে যখন নায়ককেন্দ্রিক সিনেমারই ভালো ব্যবসা হতো না, সেই সময় মাহিকে নিয়ে নির্মিত হয়েছিল ‘অগ্নি’। যার কেন্দ্রিয় চরিত্রে ছিলেন তিনি। মুক্তির পর ভালো ব্যবসাও করে তখন। সেই সফলতার পরের বছরই আসে এর সিক্যুয়াল। 

‘অগ্নি ২’-এর পর জাজ মাল্টিমিডিয়া থেকে বের হয়ে যান মাহি। ক্যারিয়ারে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে তখন তিনি। এমন সময় হঠাৎ বিয়ে করেন সিলেটের পারভেজ মাহমুদ অপুকে। 

বিয়ের পর সিলেটেই থাকতেন মাহি। সেখান থেকেই ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়মিত ছিলেন তিনি। অভিনয় করেছেন ‘কৃষ্ণপক্ষ’, ‘ঢাকা অ্যাটক’, ‘জান্নাত’-এর মতো সিনেমায়।

ব্যস্ততার বাইরে মাহির পুরো সময়টা কাটত শ্বশুরবাড়িতে। সেখানকার মানুষগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন ছবি প্রকাশ করেন সামাজিক মাধ্যমেও। বোঝা যেত স্বামী সংসার নিয়ে বেশ আনন্দে কাটছে তার সময়।

স্বামী অপুর সঙ্গে মাহি

কাজের ক্ষেত্রে স্বামীর সাপোর্ট পেয়েছেন সবসময় মাহি। বিয়ের পর তার সঙ্গে শুটিংয়ে প্রায় দেখা যেত অপুকে। তবে কয়েক বছর পার হতেই তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েনের গুঞ্জন প্রকাশ পায়। 

মাহির ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। যদিও তিনি বরাবরই অস্বীকার করেছেন বিষয়টি। তবে এবার আর কোনও ধোঁয়াশা নয়। ২৩ মে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিজেই জানিয়ে দিলেন স্বামীর সঙ্গে আর থাকছেন না ঢালিউডের এই জনপ্রিয় নায়িকা।

এমআরএম