বাকি কেবল কয়েক ঘণ্টা। তারপরই পবিত্র ঈদুল আজহা। বুধবার (২১ জুলাই) সারাদেশে উদযাপিত হবে মুসলমানদের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসব। ত্যাগের মহিমা নিয়ে প্রতিবছর ঈদুল আজহায় ইসলামপ্রিয় মানুষেরা কোরবানি দেন। তাই এখন সবাই ব্যস্ত কোরবানির পশু কেনা ও পরিচর্যায়।

কোরবানির মহত্ব হলো, এতে ধনী-গরীবের মধ্যে ব্যবধান কমে, সমন্বয় হয়। ধনীর সম্পদ থেকে কিছু অংশ গরীবের কাছে যায়। কিন্তু অনেকেই কোরবানির মাংস নিয়ম অনুসারে অসহায়দের মাঝে বিতরণ না করে নিজেরাই সংরক্ষণ করেন। ফ্রিজ ভরে রেখে দেন পরবর্তীতে খাওয়ার জন্য। যা একেবারেই অনুচিৎ।

এ বিষয়ে সবাইকে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন দেশসেরা নায়ক শাকিব খান। তিনি বলেন, ‘এবার ঈদে অনেকের রুটি-রুজির নিশ্চয়তা নেই। অনেকেই আছেন যারা কবে তৃপ্তি করে দুই মুঠো খেতে পেরেছেন বলতে পারেন না। এবারের কোরবানির ঈদটা না হয় তাদের কথা চিন্তা করেই হোক! সামর্থ্যবানরা মাসের পর মাস কোরবানির মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণ না করে বিতরণ করুন হত-দারিদ্রদের মাঝে। এতে যেমন অসচ্ছলদের ক্ষুধা মিটবে, তেমনি হবে মানবতার কল্যাণ। আর এই আত্মত্যাগই তো কোরবানির আসল মাহাত্ম্য!’

করোনা মহামারির বিষয়ে শাকিব বলেছেন, ‘পৃথিবী আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে কত দিন লাগবে সেটি এখনও অনিশ্চিত। সমস্ত পৃথিবীকে এখনও ভোগাচ্ছে করোনাভাইরাস। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষ একটু বেশি সচেতন ছিল বিধায় তারা অনেকটা স্বাভাবিক জীবনযাপনের দেখা পেয়েছেন। কিন্তু অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বর্তমানে আরও বেশি করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুহার বেড়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে; ভবিষ্যৎ বলছে, পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে যাচ্ছে!’

অসহায় মানুষের কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেছেন, ‘আসন্ন কোরবানির ঈদ হয়তো সবার মুখে সমান হাসি ফোটাবে না! কারণ একদিকে করোনার তান্ডব, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মন্দা ও দৈন্য। করোনা ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ঈদে নাড়ি টানে অনেকেই শহর ছাড়ছেন। প্রশ্নটা নিজেকেই করুন, আপনার পরিবার ও স্বজনদের বিপদে ফেললেন না তো? সবার কাছে অনুরোধ, সাবধানতা মেনে ঈদ উদযাপন করুন। নিজে সুস্থ থাকুন। সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলুন। নিজের পরিবার স্বজনের সুরক্ষার নিশ্চিত করুন।’

এদিকে শাকিব খানের এমন মানবিক আহ্বান মুগ্ধ করেছে তার অনুসারীদের। তারা মনে করছেন, জনপ্রিয় এ নায়কের কথাতে বহু মানুষ প্রভাবিত হবেন এবং কোরবানির প্রকৃত মহত্ব বজায় রেখে ঈদ উদযাপন করবেন।

কেআই