অবশেষে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে মুক্তি পেয়েছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি। কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বেলা ১টার দিকে গাড়িতে চেপে বনানীর নিজ বাসায় ফেরেন তিনি।

তবে এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি এই নায়িকা। বাসায় ঢোকার সময় বেশ হাসিমুখে ছিলেন তিনি। এ সময় তার হাতে ছিল বিস্কুট ও ফুল। তিনি বিস্কুট খেতে খেতে বাসায় প্রবেশ করেন।

পরীমণি কথা না বললেও তার হয়ে গণমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী। তিনি বলে, ‘পরীমণি শারীরিক ও মানসিকভাবে ঠিক নেই। ওনার এখন বিশ্রামের প্রয়োজন। মিডিয়ার সঙ্গে কথা বললেও সেটা দুই একদিন পরে, এখনই নয়। এরমধ্যে আইনি প্রয়োজন হলে তিনি বের হবেন। তা না হলে বিশ্রামে থাকবেন।’

এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় পরীমণির খালু জসিম উদ্দিনসহ কয়েকজন নিকটাত্মীয় ও আইনজীবী অ্যাডভোকেট নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী কারা ফটকে যান। এ সময় তার আইনজীবী বলেন, আদালত দুই পক্ষের আইনজীবীর শুনানির পর তাকে জামিন দেয়। তবে কাশিমপুর কারাগারে জামিনের কাগজপত্র না আসায় গতকাল তাকে মুক্তি দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় পরীমণির জামিন আদেশ দেন। তিন জানান, কারণ বিবেচনায় পরীমণিকে জামিন দেওয়া হয়েছে। যেহেতু পরীমণি একজন চিত্রনায়িকা এবং একজন নারী। তাছাড়া সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত প্রীতিলতা নামক একটি চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের শিডিউল চলছে। এসব বিষয় বিবেচনায় তদন্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) দাখিল পর্যন্ত জামিনের আদেশ দেন আদালত।

গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র‍্যাব। এ সময় পরীমণির বাসায় বিভিন্ন মাদক পাওয়া গেছে বলে জানায় র‍্যাব। ৫ আগস্ট র‍্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমণি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।

আরআইজে