র‌্যাবের হাতে আটক হওয়ার মাত্র তিন দিন পর চিত্রনায়িকা পরীমণির সদস্যপদ স্থগিত করেছিল তার নিজ সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। ৭ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে সিদ্ধান্তটি জানান সমিতির নেতৃবৃন্দ। চলচ্চিত্রের শিল্পী ও তাদের এই সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপরাধে পরীর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান সমিতির নেতারা।

তবে দেরিতে হলেও পরীমণির পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি। গতকাল (৩০ আগস্ট) সংগঠনটির প্যাডে পাঠানো এ চিঠিতে নায়িকার মুক্তি দাবি করেন সমিতির নেতারা।

সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান স্বাক্ষরিত এ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি ঘটনার সত্যতা না জেনে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে। চেষ্টা সত্ত্বেও পরীমণির বিষয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আর পরীমণি বড় শিল্পী হওয়ায় সত্য-মিথ্যা খুঁজে বের করা আরও কঠিন হয়ে পড়ে।’

চিঠিতে সমিতির পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা সমিতিগতভাবে পরিষ্কার জানাতে চাই, পরীমণি আমাদের প্রিয় শিল্পী। তার গ্রেফতারে বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। জামিন পেলে তিনি পালিয়ে যাবেন বলে একজন আইনজীবী পত্রিকায় যে মন্তব্য করেছেন তা সঠিক নয়। পরীমণি আমাদের দেশের জনপ্রিয় শিল্পী। তিনি যে মামলার আসামি তাতে তাকে জামিন দিয়ে এটি পরিচালনা হতে পারে। তিনি দোষী নাকি নির্দোষ তা আদালতে প্রমাণ হবে। কিন্তু জামিন পাওয়ার আইনি এখতিয়ার পরীর আছে। সুতরাং আমরা মনে করি, পরীমণিকে অবিলম্বে জামিন দিয়ে সত্য-মিথ্যা প্রমাণের সুযোগ দেওয়া হোক। তার প্রতি সুবিচার হোক।’

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বিকালে পরীমণির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। এ সময় বিপুল পরিমাণে মাদকসহ তাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে পরীর বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। গত ২৬ দিন ধরে কারাগারে আছেন এই নায়িকা।

আরআইজে