আসন্ন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে সরগরম এফডিসি। তারকাদের বিচরণে মুখর সিনেমার এই আঙিনা। তবে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা-সমালোচনা, বিতর্ক এসবও চলছে সমানতালে।

এবারের নির্বাচনে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে লড়ছেন জনপ্রিয় নায়ক রিয়াজ। এজন্য প্রায় প্রতিদিনই এফডিসিতে যাচ্ছেন তিনি, শিল্পীদের কাছ থেকে ভোট চাচ্ছেন। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কয়েকজন শিল্পীর সঙ্গে আলাপ করতে গিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন রিয়াজ। সেই ঘটনার ভিডিও ইতোমধ্যে ভাইরাল।

সেই ভিডিওতে দেখা যায়, এক বৃদ্ধ শিল্পীকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন রিয়াজ। কান্নারত অবস্থায় তিনি বলেন, ‘ভোটাধিকার হারানো এই মানুষগুলোর কান্না থামিয়ে মুখে হাসি ফিরিয়ে দিতে চাই। এই মানুষগুলোর মুখের দিকে তাকান। তাদের সাথে অন্যায় হয়েছে।’

এই ফাঁকে বলে রাখা প্রয়োজন, গত দুই মেয়াদে শিল্পী সমিতির নেতৃত্বে ছিল মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেল। তারা যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে ১৮৪ জন শিল্পীর সদস্যপদ বাতিল হয়েছে বলে জানা যায়। বিষয়টি আদালতে পর্যন্ত গড়িয়েছে। সদস্যপদ হারানো সেই শিল্পীদের নিয়েই কান্না করেছেন রিয়াজ।

এদিকে রিয়াজের কান্নাকাটির বিষয়টি শুনে অবাক হয়েছেন পরপর দুইবারের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘রিয়াজ ভাইকে দেখে আমি সিম্পলি অবাক। একটা মানুষ কীভাবে এত নিচে নামতে পারে। যখন এই সদস্যদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হয়, তখন তিনি বাধা দেননি কেন। তিনি সিগনেচার কেন করেছেন? যেই লোকটাকে নিয়ে তিনি কেঁদেছেন, রমিজ উদ্দিন তার নাম; তাকে যখন সহযোগী করা হয়, সেখানে আপনারও (রিয়াজ) স্বাক্ষর আছে। সেই ফাইলও আমার কাছে আছে। সাংবাদিক সম্মেলন করে ফাইলটা আমি দেখাব।’

রিয়াজকে নোংরামি না করার আহ্বান জানিয়ে জায়েদ খান আরও বলেন, ‘এগুলো দরকার নেই রিয়াজ ভাইয়ের। সিনেমা থেকে চলে গেছেন। সিনেমা টুকটাক করেন। সম্মানের সঙ্গে থাকেন আমাদের মাথার ওপর। এসব নোংরামি কইরেন না। আপনাদের কাছ থেকে আমরা ভালো কিছু শিখেছি। আপনারা সিনিয়র, আপনাদের দেখানো পথেই আমরা হাঁটব। আমাদের খারাপ কিছু দেখলে শাসন করবেন। কিন্তু নোংরামি করবেন না।’

উল্লেখ্য, আগামী ২৮ জানুয়ারি এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক এই নির্বাচন। এবার নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন পীরজাদা হারুন। তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে থাকছেন বিএইচ নিশান ও বজলুর রশীদ চৌধুরী।

কেআই/আরআইজে