চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আসন্ন নির্বাচন ঘিরে নানা ঘটনা ঘটছে এফডিসিতে। কিছু ঘটনা নিয়ে হয়েছে বিতর্ক, হাসাহাসি। এর মধ্যে একটি ঘটনা ছিল জনপ্রিয় নায়ক রিয়াজের কান্না। বৃদ্ধ এক শিল্পীকে জড়িয়ে ধরে তিনি হাউমাউ করে কেঁদেছিলেন। নেট দুনিয়ায় বিষয়টি হাসির খোরাক জোগালেও রিয়াজ দাবি করেছিলেন, তিনি স্বাভাবিক আবেগের বশেই কান্না করেছেন।

রিয়াজের পর এবার এফডিসিতে কাঁদতে দেখা গেল একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা নাসরিনকে। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বিকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কেঁদে ফেলেন তিনি।

এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ার কথা ছিল নাসরিনের। ঘোষণাও দিয়েছিলেন। কিন্তু পরক্ষণে সরে আসেন। এ বিষয়ে নাসরিন বলেন, ‘খারাপ লাগা তো থাকবেই। কিন্তু আমার একার কষ্টের চেয়ে সবার কষ্টটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার কষ্টটা আমার মধ্যেই থাক। আমি চাই আমার ভাই-বোনের বিজয়, সবাই শান্তিতে থাকুক। সবাই কাজ করুক, ভালো থাকুক। কোনো প্যানেলকে নির্দিষ্ট করে বলতে চাই না। কারণ দুই প্যানেলেই আমার প্রিয় মানুষেরা আছেন। তবে হ্যাঁ, আমার ব্যক্তিগত চিন্তা তো আছেই, কাকে ভোট দেব।’

এক পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট এনে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন নাসরিন। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘একটি কথা বলতে চাই, একাত্তরে যুদ্ধ হয়েছিল। ইতিহাসটা তো সবার জানা। আমরা সেই গর্বিত জাতি। নয় মাসে যুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করেছিলাম। আমাদের কিন্তু পিস্তল-বোমা সেরকম ছিল না, লাঠিসোঁটা ছিল। মায়েরা বলেছে যা, যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন কর। প্রয়োজনে যদি তোর জান দিতে হয়, আমি মা হিসেবে মেনে নেব। এখন আমি শিল্পী ভাই-বোনদের বলতে চাই, যাও তোমরা স্বাধীন করো। আমাদেরকে স্বাধীন করো, আমাদের এফডিসিকে রক্ষা করো। আমরা বাঁচতে চাই।’

শেষ মুহূর্তে ইলিয়াস কাঞ্চনের নাম উল্লেখ করে কান্না জড়ানো কণ্ঠে নাসরিন বলেন, ‘কাঞ্চন ভাইয়ের জন্য আমার অনেক দোয়া। এই মানুষটার সম্মান যেন আমরা রাখতে পারি। আমি আর কারো কথাই বলছি না।’

উল্লেখ্য, আগামী ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এতে ইলিয়াস কাঞ্চন ও অভিনেত্রী নিপুণ একটি প্যানেল গঠন করেছেন। অন্য প্যানেলে আছেন মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান।

কেআই/আরআইজে