গতকাল শনিবার (২২ জানুয়ারি) রাতে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণি। বর অভিনেতা শরিফুল রাজ। পারিবারিক আয়োজনেই সম্পন্ন হয়েছে নায়ক-নায়িকার এই বিয়ে!

পাঠক হয়তো ভাবছেন কদিন আগেই তো বাচ্চা এবং বিয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা! তাহলে আবার বিয়ে কেন? তখন আসলে সাত দিনের তুমুল প্রেমের মধ্যে হুট করেই বিয়েটা করেছিলেন রাজ-পরী।

পরীর মতে, সেটি ছিল অনেকটা পুতুল বিয়ের মতো। তাই এবার দুই পরিবারের উপস্থিতিতে আয়োজন করেই সারা হলো সেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। বউ সাজলেন পরী, আর বর হলেন রাজ। বিয়ের আসরে রাজা-রানির মতোই সেজেছিলেন দুজন। বর-কনের পোশাকে রাজ ও পরী বেছে নিয়েছিলে সোনালী ও মেরুন রঙ। 

জানা যায়, বিয়ের মধ্যে হঠাৎ কেঁদে ওঠেন পরী। তার কান্না থামাতে ভালোবাসার আলিঙ্গনে জড়িয়ে নেন বর রাজ। যেখানে উপস্থিত দিলেন দুজনের খুব কাছের কিছু মানুষ। এছাড়াও ছিলেন পরিবার এবং ঘনিষ্টজনেরা।

বিয়ের আনুষ্ঠানিতার আগে শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বেশ ঘটা করেই হয়ে যায় রাজ ও পরীমণির হলুদ সন্ধ্যা। এদিন দিনগত রাতে এই ঘরোয়া আয়োজন করা হয়।

গত বছরের ১৭ অক্টোবর অভিনেতা শরিফুল রাজকে বিয়ে করেন পরীমণি। তবে শুরুতে বিয়ের খবর ইচ্ছে করেই আড়াল রেখেছিলেন দুজন। এরইমধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হন পরী। এরপর গত ১০ জানুয়ারি একসঙ্গে জোড়া সুখবর দেন।

গত বছর গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘গুণিন’ সিনেমায় কাজ করতে গিয়েই পরীমণি ও রাজের প্রথম দেখা। তারা ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছিলেন, সিনেমাটির একটি মিটিংয়ে দুজনের পরিচয়। সেখানে সিনেমাটি নিয়ে নানা আলাপচারিতা ও রিহার্সালের মাঝেই একে অপরকে ভালো করেন দেখেন। আর তখনই ভালোলাগা তৈরি হয়। দ্রুত দুজন দুজনকে মনের কথা জানান। সাত দিনের প্রেমের মধ্যেই করে ফেলেন বিয়ে। এর দুই মাসের মাথাতেই নেন বাচ্চা। অবশেষে নতুন মানুষকে সাথে নিয়েই সেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারলেন তারা।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ সিনেমার মধ্য দিয়ে ঢালিউডে আত্মপ্রকাশ করেন পরীমণি। এরপর প্রায় তিন ডজন সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।

অন্যদিকে শরিফুল রাজ এ প্রজন্মের সম্ভাবনাময় অভিনেতা। ২০১৬ সালে ‘আইসক্রিম’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। এরপর ‘ন ডরাই’ সিনেমার মাধ্যমে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি।

আরআইজে