নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকাল অব্দি হয়েছে ভোটগ্রহণ। উৎসবমুখর পরিবেশে তারকারা এসে ভোট দিয়েছেন। এফডিসিতে জমে ওঠে তারকার মেলা।

এবারের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪২৮ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৬৫ জন। তবে ব্যতিক্রম ব্যাপার হলো, সাধারণ ভোটার নয়, এই নির্বাচনের দু’জন প্রার্থীও আসেননি ভোট দিতে।

তারা হলেন অভিনেতা বাপ্পারাজ ও চিত্রনায়িকা পরীমণি। এর মধ্যে বাপ্পারাজ ছিলেন মিশা-জায়েদ প্যানেলের কার্যকরী পরিষদের সদস্য প্রার্থী। আর পরীও একই পদের প্রার্থী হয়েছেন কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলে।

যদিও নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাতিলের দিনই পরীমণি ঘোষণা দেন যে, তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন না। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগে নির্বাচন কমিশনারকে বিষয়টি না জানানোর কারণে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়নি। ব্যালট পেপারে তার নাম-ছবি ঠিকই ছিল।

পরী অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন, ব্যালট পেপারে নাম থাকলেও তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন না। এমনকি তিনি যদি জিতেও যান, তবুও এই পদ গ্রহণ করবেন না। এছাড়া সম্প্রতি পরী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার ওপর তিনি এখন অন্তঃসত্ত্বা। তাই এই জনসমাগমে যাননি তিনি। 

কিন্তু বাপ্পারাজের না আসার বিষয়টি নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। তাকে মিশা-জায়েদ প্যানেলে প্রার্থী করা হলেও তিনি নির্বাচন নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখাননি। এমনকি বিপরীত প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চনের সমর্থনেই প্রকাশ্যে কথা বলেছেন নায়করাজ রাজ্জাকের পুত্র। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভোট দেয়া থেকেও তিনি নিজেকে বিরত রাখবেন, এটা হয়ত কেউই ভাবেনি।

উল্লেখ্য, শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টায় শুরু হয়েছিল শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সেটা শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে। সর্বশেষ ভোট দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুণ।

কেআই