বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও নায়িকা নিপুণের মধ্যকার লড়াই এখনো চলমান। পদটির ওপর এখনো স্থিতাবস্থা বহাল রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিকে আদালতের আদেশের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জায়েদ খান জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি ন্যয় বিচার পাবেন বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।

ভালোবাসা দিবসের দিনেও আদালতে ছোটাছুটি করা লাগছে। বিষয়টি কষ্টকর জানিয়ে গণমাধ্যমকে জায়েদ বলেন, ‘আমি নির্বাচনে জয়লাভ করেছি। এরপরও আমার এমন অবস্থা কেন হবে? আমি তো ভোটে জিতেছি। শিল্পীরা কেউ আমার জন্য রোজা রাখছে, কেউ নফল নামাজ পড়ছে, কেন আমার সাথে এমন হচ্ছে?’

তিনি আরও বলেন, ‘একটা নির্বাচিত শিল্পীকে অবৈধ চিঠির মাধ্যমে এই ষড়যন্ত্র করল। এতে কিন্তু শিল্পের ক্ষতি হলো। শিল্পী সমিতির ক্ষতি হলো। এটা কেউ খেয়াল করছে না। নির্বাচিত হয়ে কাজ করব একসঙ্গে, তা তো হচ্ছে না। এগুলো তো শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা হতে পারে না।’

এদিকে সমিতির এই নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে যে’কজন নির্বাচিত হয়েছেন, তারা সবাই পদত্যাগ করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। এরইমধ্যে নায়িকা রোজিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন নায়ক রুবেল পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জায়েদ খান বলেন, ‘ওনারা আসলে রাগে-অভিমানে বলেছেন। তবে আদালতের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে সব। এরপর আমরা এগারোজন মিলে সিদ্ধান্ত নেব, কী করব। বিক্ষিপ্তভাবে কিছু হবে না।’

ভালোবাসা দিবসে প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণকে শুভেচ্ছা জানাতেও ভুল করলেন না জায়েদ খান। বললেন, ‘তাকে ভালোবাসা দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আশা করি শিল্পীদের রায় মেনে নিয়ে আমাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেবেন। দুই বছর একসঙ্গে কাজ করি। সামনের বার পুনরায় নির্বাচন করুক উনি। শিল্পীরা হয়ত ওনাকে ভোট দেবেন। কিন্তু নির্বাচিত না হয়ে যেগুলো করছেন, এগুলো দেখে মানুষ হাসছে। শিল্পী সমিতির চর্চা না এগুলো।’

কেআই/আরআইজে