বিশ্বব্যাপী ওটিটি প্ল্যাটফর্মের গ্রাহক এখন ১০০ কোটির বেশি। মোশন পিকচার অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে। ২০২০ সালের করোনার কারণে বিশ্বের সব থিয়েটার ও সিনেমা হলগুলো বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময়টা কাজে লাগিয়েছে ওটিটি প্রতিষ্ঠানগুলো। 

মহামারির সময় অবসর কাটানোর জন্য বেশিরভাগ দর্শক ওটিটি প্ল্যাটফর্মের দিকে ঝুঁকেছে। জনপ্রিয় স্ক্রিমিং সাইটগুলোর মধ্যে রয়েছে নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম, এইবিও ম্যাক্স, ডিজনি প্লাস, হুলু, অ্যাপল টিভি ইত্যাদি। 

এরমধ্যে বর্তমানে নেটফ্লিক্স রয়েছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। গ্রাহক বাড়ার সঙ্গে ওটিটি প্ল্যাটফর্মটি কনটেন্ট বাড়াতে থাকে। শুধু তাই নয়, গত বছর থেকে বিভিন্ন দেশে তারা শাখা চালুর উদ্যোগও নিয়েছে। 

করোনার সময় নেটফ্লিক্সের রাজস্ব অনেক বেড়েছে। সংশ্লিষ্টদের অনেকে বলেছে, মহামারিতে সিনেমা হল ও থিয়েটারের অভাব পূরণ করেছে তারা। কিন্তু এই অবস্থান ধরে রাখতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে বলা যাচ্ছে না।

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম

নেটিফ্লিক্স পুরস্কার অনুষ্ঠানগুলোতেও বেশ প্রভাব বিস্তার করেছে। তাদের যাত্রা শুরুর দ্বিতীয় বছরেই অস্কারের মোট ৩৫টি বিভাগে মনোনীত হয়েছে। অরিজিনাল কমেডি, ড্রামা সিরিজ, ডকুমেন্টারি ও শিশুদের অনুষ্ঠানসহ অনেক কনটেন্ট প্রকাশ করেছে তারা। 

কয়েকটি স্ট্রিমিং সার্ভিসের কনটেন্ট নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এ কারণে অনেক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জনপ্রিয়তা পায়নি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় অ্যাপল টিভি প্লাসের কথা। 

অ্যাপল টিভি প্লাস জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য অনেক পরিশ্রম করেছে। বেশিরভাগ সাবস্ক্রাইবার তাদের ফ্রি-ট্রায়াল ব্যবহার করছে। বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে এই ওটিটি প্ল্যাটফর্মটি কনটেন্টের দিকে নজর দিলে কয়েক বছরের মধ্যে তারাও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। 

এমআরএম