অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে মাটি, ক্রেতাও বেশ
ডিজিটালের ছোঁয়া এখন সবখানে। অনলাইন প্লাটফর্মে সেই ছোঁয়া লেগেছে আরও কয়েক বছর আগে। ব্যস্ত নগরীতে এখন অনেকেই কেনাকাটা করতে আর দোকানে যেতে চান না। ঝামেলার কেনাকাটার সহজ সমাধান দিয়েছে অনলাইন শপিংগুলো। ঘরে বসেই অর্ডার করে পাওয়া যাচ্ছে সব পণ্য। পোশাক, গহনা থেকে শুরু করে মাছ-মাংস, বলতে গেলে সবকিছুই এখন মেলে অনলাইন শপিংয়ে।
অনলাইন শপিংয়ের যুগে যখন প্রায় সবকিছুই হাতের নাগালে পাওয়া যাচ্ছে, তখন ভিন্ন রকমের একটি পণ্য অনলাইন প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছে। কারও কারও হয়তো ভাবতেই অবাক লাগবে, এ পণ্যও বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে! বিষয়টি আরও স্পষ্ট করা যাক। অনলাইনে এখন মাটি বিক্রি হচ্ছে, তাও কেজি দরে। ভাবতে অবাক লাগলেও অনলাইন প্লাটফর্মে নিত্যনতুন পণ্যের সঙ্গে যুগের চাহিদায় জায়গা করে নিয়েছে মাটি।
বিজ্ঞাপন
গাছপ্রেমী শহুরে মানুষরাই মূলত এর ক্রেতা। তারা বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজে ঢুকে অনলাইনে মাটির অর্ডার করছেন। অন্যদিকে, বিক্রেতারা মাটি প্যাকেটে করে ক্রেতার ঠিকানায় ডেলিভারি দিচ্ছেন।
ইট-পাথর আর কংক্রিটের এ শহরে সবুজের দেখা মেলা ভার। যেদিকে চোখ যায় শুধু সুউচ্চ ভবন। শহরের বুকে আকাশ ছুঁতে চাওয়া দালানগুলোর সারি। এর মধ্যেও অনেকে সবুজ খোঁজেন, সবুজের সান্নিধ্যে থাকতে চান। ব্যস্ততম এ নগরীতে অল্প পরিসরে হলেও তারা সবুজের দেখা পান ঘরের বারান্দায়, বাড়ির ছাদে কিংবা আঙ্গিনায়। শহুরে বাড়িতে বেলকনি বা ছাদ-বাগানের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ফলে নার্সারিগুলোতে গাছ ও চারা বিক্রি বেড়েছে। মূলত, করোনাকালে ঘরবন্দি সময়ে মানুষের গাছ লাগানোর প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু শহরে গাছ লাগানো জন্য প্রয়োজনীয় মাটি পাওয়া মুশকিল। তাই মানুষের চাহিদা মেটাতে বাণিজ্যিকভাবে কেজি দরে মাটি বিক্রি বেড়েছে অনলাইন প্লাটফর্মে।
বিজ্ঞাপন
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন নীলা আক্তার। বাসার বেলকনি ও বারান্দার টবে নানা প্রজাতির গাছ লাগিয়েছেন। আলাপকালে এ গৃহিণী বলেন, ঢাকা শহরে ছাদ-বাগান, বারান্দা বা ঘরে গাছ লাগানো, সেগুলো বড় করা— এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ভালো মাটি পাওয়া। ঢাকা শহরে গাছ বা বাগানপ্রেমী মানুষ মাটি কোথায় পাবেন? ভালো মানের মাটি পাওয়া যে খুবই দুষ্কর।
‘অনলাইনে মাটি বিক্রি করে এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পাই। এরপর সেসব প্লাটফর্মে যোগাযোগ করে নিয়মিত মাটি সংগ্রহ করি, পছন্দের গাছ লাগাই, পরিচর্যা করি। প্রথমে শুনে তো সবাই অবাক। অনলাইনে মাটি পাওয়া যায়! বিষয়টি আসলেই ইন্টারেস্টিং…। যখন সবাই অনলাইনে পোশাক, গহনা, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনছেন, তখন অনলাইনেও মাটি বিক্রি হচ্ছে। আমার কাছে শুনে অনেকেই এখন অনলাইনে মাটির অর্ডার দিচ্ছেন।’
মাটি বিক্রি করে এমন বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে ঢাকা পোস্ট। তারা জানায়, অনলাইনে প্রতি কেজি মাটি বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ৩০ টাকায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে প্রতি কেজি মাটি ১২ টাকায় বিক্রি হলেও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান মাটিতে বিভিন্ন উপাদান মেশানোর কথা উল্লেখ করে কেজিপ্রতি দর হাঁকাচ্ছেন ৩০ টাকা। প্রতিষ্ঠানগুলোর ফেসবুক পেজ, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কিংবা ফোন করে মাটি অর্ডার দেওয়া যায়। অর্ডার কনফার্ম হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ক্রেতার ঠিকানায় মাটি পৌঁছে দেওয়া হয়।
অনলাইনে মাটি বিক্রি করা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ফেসবুক পেজে পোস্ট করে মাটির গুণগত মানের ধারণা দেয়। এমন একটি প্রতিষ্ঠান পোস্ট দিয়ে বলেছে, ‘পারফেক্ট রেডি-মিক্সড মাটি ছাদ-বাগানের নিশ্চিন্ত সমাধান। রেডি-মিক্সড মাটি ১২ টাকা কেজি, মিনিমাম ১০ কেজি নিতে হবে। আমরা নিয়ে এলাম সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় মেশিনে ১৪টি জৈব ও পুষ্টি উপাদানের মিশ্রণে তৈরি ছাদ ও বারান্দা-বাগানের জন্য সবচেয়ে উপযোগী পারফেক্ট রেডি-মিক্সড মাটি। যা আপনাদের গাছ সঠিকভাবে বাড়িয়ে তুলবে এবং সর্বোচ্চ ফলন নিশ্চিত করবে।’
‘ঢাকাসহ সারা দেশে ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে। রেডি-মিক্সড মাটিতে যে উপাদান আছে— বেলে দোআঁশ মাটি, ভার্মি কম্পোস্ট, কোকডাস্ট, কম্পোস্ট ছাই, গোবর গুঁড়া, প্রেস-মাট, সয়াবিন খৈল, নিম খৈল, সুগার ক্যান ডাস্ট, হাড়ের গুঁড়া, ঝিনুক পাউডার, ফিস মিল, কচুরিপানা, ডিম খোসা পাউডার, ট্রাইকোডার্মা পাউডার, চিটা কম্পোস্ট ও পাতা কম্পোস্ট।’
ইট-পাথর আর কংক্রিটের এ শহরে সবুজের দেখা মেলা ভার। যেদিকে চোখ যায় শুধু সুউচ্চ ভবন। শহরের বুকে আকাশ ছুঁতে চাওয়া দালানগুলোর সারি। এর মধ্যেও অনেকে সবুজ খোঁজেন, সবুজের সান্নিধ্যে থাকতে চান। ব্যস্ততম এ নগরীতে অল্প পরিসরে হলেও তারা সবুজের দেখা পান ঘরের বারান্দায়, বাড়ির ছাদে কিংবা আঙ্গিনায়
‘এ এম অর্গানিক ফার্ম’ নামক এক প্রতিষ্ঠান তাদের রেডি-মিক্সড মাটির বিষয়ে উল্লেখ করেছে, ‘এখানে পাবেন সম্পূর্ণ অর্গানিক রেডি-মিক্সড মাটি। প্যাকেট খুলে সরাসরি গাছ লাগাতে পারবেন, কোনো ধরনের বাড়তি ঝামেলা নেই। মিনিমাম সাত মাস গাছে কোনো সার দেওয়া লাগবে না। ২৫ কেজি ৩০০ টাকা, ৫০ কেজি ৬০০ টাকা এবং ১০০ কেজি পাচ্ছেন মাত্র ১২০০ টাকায়। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে জেলা শহরগুলোতেও পণ্য পাঠানো হয়। কুরিয়ার চার্জ ১০-২৫ কেজি পর্যন্ত ১১০ টাকা, ২৫-৫০ কেজি পর্যন্ত ১৭০ টাকা, ৫০-১০০ কেজি পর্যন্ত ৩৫০ টাকা।’
কাজী এগ্রো ভার্মি কম্পোস্ট নামের মাটি বিক্রির প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয় ঢাকা পোস্টের। তারা জানায়, রেডি-মিক্সড মাটি ১২ টাকা কেজি। ১৪/১৫টি উপাদানের কথা বলে যারা অফার মূল্য দিয়ে রেডি-মিক্সড মাটি বিক্রি করে তাদের থেকে মাটি অর্ডার করার আগে একবার ভেবে নিন। তারা মাটির কোয়ালিটি ঠিক রাখছে কি না? অফার দেখে শুধু ছাইমিশ্রিত মাটি কিনে প্রতারিত হবেন না।
গ্রিন কেয়ার নামের প্রতিষ্ঠানের সিইও রাকিব হাসান কাফি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘অনলাইনে মাটি বিক্রির থিমটা নতুন। মূলত, করোনাকাল থেকে অনলাইনে মাটির বিক্রি বেড়েছে। এখন এ মাধ্যমে মাটি বিক্রিতে বেশ সাড়া পাচ্ছি। বাগান বা গাছপ্রেমী অনেক মানুষ এখন নিয়মিত অনলাইনে মাটি কেনেন। বিশেষ করে শহরের মানুষ বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কারণ, সঠিক ও গুণগত মাটি শহরে খুঁজে পাওয়া কঠিন। অনলাইনে মাটি কিনতে পারায় এখন ছাদ-বাগান করা সহজ হয়েছে।’
কাজী এগ্রো ভার্মি কম্পোস্ট নামের প্রতিষ্ঠানের পরিচালক কাজী সজিব। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, অনলাইনে আমাদের মাটি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে রাজধানীতে। এছাড়া অন্যান্য জেলা থেকেও অর্ডার আসছে। আমাদের মূল ক্রেতা হলো শহুরে মানুষ। তারা বাসার ছাদে, বেলকনি বা বারান্দায় গাছ লাগান। হাতের কাছে গাছ লাগানোর মতো মাটি তারা পান না। এ কারণে অনলাইনে তারা অর্ডার করেন। আমরা ক্রেতার ঠিকানায় চাহিদা মতো মাটি পৌঁছে দিই।
প্যাকেট খুলে সরাসরি গাছ লাগাতে পারবেন, কোনো ধরনের বাড়তি ঝামেলা নেই। মিনিমাম সাত মাস গাছে কোনো সার দেওয়া লাগবে না। ২৫ কেজি ৩০০ টাকা, ৫০ কেজি ৬০০ টাকা এবং ১০০ কেজি পাচ্ছেন মাত্র ১২০০ টাকায়। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে জেলা শহরগুলোতেও পণ্য পাঠানো হয়। কুরিয়ার চার্জ ১০-২৫ কেজি পর্যন্ত ১১০ টাকা, ২৫-৫০ কেজি পর্যন্ত ১৭০ টাকা, ৫০-১০০ কেজি পর্যন্ত ৩৫০ টাকা
‘অনলাইনে মাটি বিক্রির জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এ মার্কেট আরও বড় হওয়ার সুযোগ আছে। গুণগত মানের দিকে নজর দিয়ে সর্বোচ্চ ভালো মাটি আমরা ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
মাটি কেনা-বেচার বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইংয়ের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (ফুল ও ফল) কৃষিবিদ মো. আহসানুল হক চৌধুরী বলেন, ‘কোন ধরনের মাটি কিনছেন অবশ্যই তা আপনাকে দেখে নিতে হবে। কারণ, ঢাকার আশপাশের অনেক এলাকার মাটিতে হেভি-মেটাল, আর্সেনিকসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে। কেউ যদি হেভি-মেটাল বা আর্সেনিকযুক্ত মাটি কিনে কোনো ফল বা সবজির গাছ লাগান, সেই গাছের ফল বা সবজিতে উপাদানগুলো থাকবে। সে কারণে মাটি কেনার আগে অবশ্যই সঠিক তথ্য জেনে নিতে হবে।’
মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকার বেসরকারি চাকরিজীবী লুৎফর নাহার। বেলকনি ও ঘরে গাছ লাগিয়েছেন তিনি। মাটির ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি একজন চাকরিজীবী। বাসায় ফিরে সংসারের কাজ সামলে গাছ-গাছালির পরিচর্যা করি। এটি এক ধরনের নেশা। যেহেতু গাছ ভালোবাসি তাই ভালোভাবে করতে হয়। এর প্রধান উপকরণ মাটি। সঠিক মাটি নিশ্চিত করতে হয়।
‘আগে গাছ লাগানোর জন্য বিভিন্ন নার্সারিতে গিয়ে মাটি কিনে আনতাম। এখন সেই মাটি অনলাইনেই পাওয়া যায়। তাই ঝামেলায় না গিয়ে এখন সরাসরি অনলাইনে অর্ডার করি। একটু যাচাই-বাছাই করে মাটি কিনতে হয়। ভালো মাটি সম্পর্কে জানতে হয়। গুণগত ও মানসম্পন্ন মাটি অর্ডার দিলে তারা ঘরে পৌঁছে দেয়। তবে, দাম বেশি হওয়ায় অনেক ক্রেতা এখন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।’
নার্সারিতেও বিক্রি হচ্ছে মাটি
রাজধানীর বাড্ডা-গুলশান লিংক রোডে অবস্থিত ‘গুলশান নার্সারি’। মূল সড়কের সঙ্গে লাগোয়া হওয়ায় সারাদিন ক্রেতাদের ভিড় লেগে থাকে এখানে। নার্সারির ভেতরে ঢুকতেই দেখা গেল এক ক্রেতা গাছ কেনা শেষে মাটির দরদাম করছেন। তিনি ছাদ-বাগান করবেন, অনেক মাটির প্রয়োজন।
দরদামের ফাঁকে কথা হয় সেখানে দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ ফাহিমের সঙ্গে। বলেন, রাজধানীতে বেশ আগে থেকেই মাটি বিক্রির প্রচলন আছে। তবে, করোনাকালে মানুষের মধ্যে ছাদ-বাগান, বেলকনিতে গাছ লাগানোর প্রবণতা বেড়েছে। ঢাকা শহরে যেহেতু গাছ লাগানোর মাটি পাওয়া যায় না, এ কারণে সবাই নার্সারিতে মাটি কিনতে আসেন। মাটি বিক্রি আগের চেয়েও বেড়েছে।
মাটির দামের ধারণা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এক বস্তা মাটি আমরা বিক্রি করি ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। এক বস্তায় প্রায় ৪০ কেজি মাটি থাকে। যদি সার, গোবর মিশিয়ে গাছের উপযোগী মাটি বিক্রি করি সেক্ষেত্রে দাম আরও বেশি পড়ে। মাসে গড়ে তিন ট্রাক মাটি বিক্রি করি আমরা।
মাটি কোথা থেকে আসে— জানতে চাইলে ফাহিম বলেন, মানিকগঞ্জসহ ঢাকার আশপাশের এলাকা থেকে আমরা মাটি সংগ্রহ করি। এরপর ট্রাকে নিয়ে আসি। মাসে ৩০০-৪০০ বস্তা মাটি বিক্রি হয়। তবে, মাটির বিক্রির হার ইদানিং বেড়েছে। প্রতি বস্তা কেনা পড়ে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়, বিক্রি করি ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। যদিও এগুলো নরমাল মাটি। তবে, সার-গোবরসহ প্রয়োজনীয় উপাদান মেশানো মাটির দাম একটু বেশি। আমরা মূলত ফসলি খেতের দোআঁশ মাটি আনি। গাছের জন্য এ মাটি ব্যবহার করেন সবাই।
রাজধানীর আগারগাঁও এলাকার ইউনিক নার্সারি। বিভিন্ন জাতের গাছ ও চারার পাশাপাশি মাটিও বিক্রি করে তারা। নার্সারির ম্যানেজার সাজেদুর রহমান জানান, যারা গাছ কিনতে আসেন, তারা টব ও র্যাক কেনেন। এরপর জানতে চান মাটি আছে কি না। এ কারণে এখন প্রায় সব নার্সারিতে মাটি বিক্রি হয়। একসঙ্গে সব ধরনের সেবা দিতে এমন উদ্যোগ।
‘শহরের মানুষ মাটি কোথায় পাবে? কাস্টমারদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে নার্সারিতে মাটি বিক্রি করি। ক্রেতাও পাওয়া যায় অনেক। সাধারণ মানের মাটি আমরা বস্তায় ভরে বিক্রি করি। সেক্ষেত্রে বস্তাপ্রতি ১০০/১৫০ টাকা পড়ে। রেডি-মিক্সড মাটি ১০ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। দুই ধরনের মাটির চাহিদা বেড়েছে রাজধানীতে।’
এএসএস/এসএসএইচ/এমএআর/