রাজধানীর সরকারি স্কুলগুলোর ওপর চাপ কমাতে আশেপাশে আরও ১০টি ভালো মানের স্কুল নির্মাণের উদ্যোগ নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য ‘ঢাকা শহরের সন্নিকটবর্তী এলাকায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এ প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে স্থাপনা ও গাছপালা ‘যদি থাকে’ এমন অনুমান করে ১০১ কোটি টাকা ব্যয় ধরে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) তৈরি করা হয়।

শুধু তাই নয়, নারায়ণগঞ্জের একটি নালা শ্রেণির জমিকে বাণিজ্যিক দেখিয়ে আরও প্রায় ২৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বেশি ধরা হয়। সবমিলিয়ে প্রকল্পে অতিরিক্ত ১২৫ কোটি টাকা সম্ভাব্য বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে এমন অনুমাননির্ভর ব্যয়ের চিত্র উঠে এসেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্পের দলিল ডিপিপি। শুরুতেই যদি দুর্নীতির ক্ষেত্র তৈরি করে দেওয়া হয় তাহলে পুরো প্রকল্পের সুফল নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। এদিকে, সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্পে (আরডিপি) অস্বাভাবিক ব্যয় ধরার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্প পরিচালকের (পিডি) পদ থেকে ড. আমিরুল ইসলামকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার সদস্য সচিবের দায়িত্বে থাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) দিল আফরোজ বিনতে আছিরের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

নারায়ণগঞ্জের একটি নালা শ্রেণির জমিকে বাণিজ্যিক দেখিয়ে ২৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বেশি ধরা হয়। সবমিলিয়ে প্রকল্পে অতিরিক্ত ১২৫ কোটি টাকা সম্ভাব্য বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা ক্যাডারের ওই দুই কর্মকর্তার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, কর্মস্থল, চাকরিতে যোগ দেওয়ার তারিখ, বেতন স্কেল উল্লেখ করে অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী তৈরি করতে বলেছে মন্ত্রণালয়। জরুরিভিত্তিতে এসব তথ্য দিতে মাউশি’র ডিজিকে বলা হয়েছে।

অস্বাভাবিক ব্যয় ধরা মানে প্রকল্পে দুর্নীতির একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা- বলছে মন্ত্রণালয়

তবে অভিযুক্তদের দাবি, ‘তাদের বলির পাঁঠা’ বানানো হচ্ছে। যে প্রকল্পের প্রস্তাবনার অনুমোদন হয়নি, সেখানে দুর্নীতি হয় কীভাবে? আর আরডিপি তৈরিতে জেলা প্রশাসক, মাউশি মহাপরিচালক, পরিচালক (উন্নয়ন) সরাসরি সম্পৃক্ত থাকলেও তাদের কিছুই হচ্ছে না।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৭ সালের অক্টোবরে একনেকে পাস হয় প্রকল্পটি। তখন প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ছিল ৬৭৩ কোটি টাকা। চার বছরের প্রকল্পে মাত্র ব্যয় হয়েছে ১৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এ সময়ের মধ্যে জমির দাম বেড়েছে তিনগুণ। তাই প্রকল্পের বরাদ্দ বাড়াতে ডিপিপি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটি।

২০১৭ সালের অক্টোবরে একনেকে পাস হয় প্রকল্পটি। তখন প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ছিল ৬৭৩ কোটি টাকা। চার বছরের প্রকল্পে মাত্র ব্যয় হয়েছে ১৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এ সময়ের মধ্যে জমির দাম বেড়েছে তিনগুণ। তাই প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়াতে ডিপিপি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটি

এতে বলা হয়, ভূমি অধিগ্রহণ ম্যানুয়াল অনুসারে জমির মূল্য দেড় থেকে তিনগুণ বাড়ায় ডিপিপিতে বরাদ্দ করা অর্থের ঘাটতি হবে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। তাই সংশোধিত ডিপিপিতে (আরডিপি) তা প্রতিফলন ঘটানোর সিদ্ধান্ত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কাছে ভূমি অধিগ্রহণের ব্যয় বরাদ্দ চাওয়া হয়। তাদের ব্যয় বরাদ্দসহ অন্যান্য বরাদ্দ অনুযায়ী আরডিপি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠান প্রকল্প পরিচালক (বর্তমানে ওএসডি) ড. আমিরুল ইসলাম।

এটাকে আমি পদ্মা সেতুর দুর্নীতির মতো মনে করি- বলছেন প্রকল্পের সাবেক পরিচালক

প্রাক্কলনের বিপরীতে আরডিপি প্রস্তুত করে তা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনসহ খসড়া আরডিপি জমা দেওয়া হয় মাউশি’র মহাপরিচালকের কাছে। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান মহাপরিচালক আরডিপি যাচাই না করে স্বাক্ষর দিয়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠান। গত বছরের ২১ মার্চ স্টিয়ারিং কমিটি জমি অধিগ্রহণ বাবদ সম্ভাব্য প্রাক্কলন সংবলিত ডিপিপি সংশোধনের সব কার্যক্রম স্থগিত করে। এরপর থেকে অভিযোগ ওঠে, প্রকল্পে ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতির পরিকল্পনা ছিল প্রকল্প পরিচালকের।

মূল ডিপিপি থেকে এখন আরডিপিতে ভূমি অধিগ্রহণে ৪০০ কোটি থেকে বেড়ে ৬৪৪ কোটি টাকা হয়েছে, যা অস্বাভাবিক। আরডিপিতে শুধু শিক্ষা সচিবের স্বাক্ষর বাকি ছিল। তার স্বাক্ষরের পর একনেকে এটা পাস হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিব্রতকর ও মানহানিকর পরিস্থিতিতে পড়ত

এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোমিনুল রশিদ আমিনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটি গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রতিবেদন জমা দেয়। সেখানে প্রকল্পে দুর্নীতির প্রমাণ না পেলেও ‘দুর্নীতি হতে পারত’ এমন শঙ্কার কথা উল্লেখ করা হয়।

গাছপালা ও অবকাঠামো (যদি থাকে) নিয়ে অনুমাননির্ভর ব্যয় ধরাকে ‘দুরভিসন্ধিমূলক’ উল্লেখ করে তদন্তে বলা হয়, দুর্নীতির শুরু প্রাক্কলন থেকেই হয়। মূল ডিপিপি থেকে এখন আরডিপিতে ভূমি অধিগ্রহণে ৪০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৬৪৪ কোটি টাকা হয়েছে, যা অস্বাভাবিক। আরডিপিতে শুধু শিক্ষা সচিবের স্বাক্ষর বাকি ছিল। তার স্বাক্ষরের পর একনেকে এটা পাস হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিব্রতকর ও মানহানিকর পরিস্থিতিতে পড়ত।

শিক্ষা ভবন

এ বিষয়ে সাবেক প্রকল্প পরিচালক ড. আমিনুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনটি একপেশে হয়েছে। প্রতিবেদনে শুধু ‘হতে পারত’ বলা হয়েছে। কিন্তু কী হয়েছে সেটা বলা হয়নি। তাই এটাকে আমি পদ্মা সেতুর দুর্নীতির মতো মনে করি। যে প্রকল্পে মাত্র ১৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে সেখানে ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতির বিষয় নিয়ে আসা ষড়যন্ত্রমূলক।

তদন্ত প্রতিবেদনটি একপেশে হয়েছে। প্রতিবেদনে শুধু ‘হতে পারত’ বলা হয়েছে। কিন্তু কী হয়েছে সেটা বলেনি। তাই এটাকে আমি পদ্মা সেতুর দুর্নীতির মতো মনে করি। যে প্রকল্পে মাত্র ১৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে সেখানে ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতির বিষয় নিয়ে আসা ষড়যন্ত্রমূলক

ড. আমিনুল ইসলাম, সাবেক প্রকল্প পরিচালক

তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে আরডিপি গ্রহণ না করে বাতিল করেছে, সেটি নিয়ে তদন্ত হতে পারে না। বর্তমানে প্রকল্পটি ‘নো কস্ট’ ব্যয় নেই— এমন শর্তে এক বছর বর্ধিত করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের স্টিয়ারিং কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন তৎকালীন শিক্ষা সচিব (বর্তমানে পিএসসি চেয়ারম্যান) মো. সোহরাব হোসাইন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ৪০০ কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম। প্রকল্পে সাধারণত এরকম হয়। পরে অধিগ্রহণ করা জমির মূল্য যৌথ তদন্তে ঠিক করা হয়। এখানে দুর্নীতির কিছু ছিল বলে আমার চোখে পড়েনি।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ প্রসঙ্গে ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রকল্পের ডিপিপি, আরডিপি হলো পুরো উন্নয়নের দলিল। এখানে অস্বাভাবিক ব্যয় ধরা মানে প্রকল্পে দুর্নীতির একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা। তাই যারা এ কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।

প্রকল্পের ডিপিপি, আরডিপি হলো পুরো উন্নয়নের দলিল। এখানে অস্বাভাবিক ব্যয় ধরা মানে প্রকল্পে দুর্নীতির একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা। তাই যারা এ কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি

মো. মাহবুব হোসেন, সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ

সাবেক প্রকল্প পরিচালক ড. আমিরুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পাঠানো চাহিদার ভিত্তিতে প্রকল্পের আরডিপি তৈরি করেছি। যা মাউশি’র মহাপরিচালকের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে গেছে। এটা যদি দোষের হয় তবে এজন্য মহাপরিচালক, উন্নয়ন পরিচালকসহ আরও অনেকেই দায়ী। তাহলে আমাকে একা কেন ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হচ্ছে।

মাউশি’র মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম মো. ফারুক এ প্রসঙ্গে ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটা নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে। তাই এখন কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

বাংলাদেশ সচিবালয়

যেভাবে প্রাক্কলন তৈরি হয়েছে

ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক অফিসে সাতটি স্কুলের জন্য মোট ১৪ একর জমি অধিগ্রহণে সম্ভাব্য ব্যয় ধরে একটি প্রাক্কলন তৈরির জন্য চিঠি দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের জুনে ঢাকা জেলা প্রশাসক অফিস থেকে ছয়টি স্কুলের জন্য ১৪ একর জমির মূল্য ৬০৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা এবং নারায়ণগঞ্জের ছয় একর জায়গার জন্য ১২৭ কোটি ৯১ লাখ টাকার চাহিদা দেওয়া হয়। অবকাঠামো ও গাছপালার দাম পরবর্তী সময়ে গণপূর্ত ও বন বিভাগ নির্ধারণ করবে। এছাড়া জমির শ্রেণি ও মূল্য পরিবর্তন হতে পারে, যা যৌথ তদন্তে নির্ধারণ হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

আমি ডেস্ক অফিসার হিসেবে প্রতি পৃষ্ঠায় স্বাক্ষর করেছি। প্রকল্পের সব দায়িত্ব প্রকল্প বাস্তবায়ন ইউনিটের (পিআইইউ)। তাই প্রকল্পের কোনো পর্যায়েই আমার সম্পৃক্ততা নেই

আফরোজ বিনতে আছির, সহকারী পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর

জমির মূল্য নির্ধারণ প্রসঙ্গে দিল আফরোজ বিনতে আছির ঢাকা পোস্টকে বলেন, সবচেয়ে বেশি জমি অধিগ্রহণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তারা এভাবে প্রাথমিক একটা ব্যয় ধরে প্রাক্কলন করে। পরবর্তী সময়ে যৌথ তদন্ত করে চূড়ান্ত মূল্য নির্ধারণ হয়। এক্ষেত্রে তাই হয়েছে বলে আমি জানি।

এখন পর্যন্ত যত টাকা ব্যয় হয়েছে

আলোচিত এ প্রকল্পে এখন পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে ১৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে পূর্বাচলে দেড় একর জমি কেনা হয়েছে নয় কোটি ৬৫ লাখ টাকায়। কেরানীগঞ্জে দুই একর জমির বন্দোবস্ত হয়েছে ৫০ লাখ টাকায়। এছাড়া দুটি গাড়ি এক কোটি ৩৪ লাখ টাকায় এবং ধামরাইয়ে একটি জমির ছাড়পত্রে খরচ হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা। বাকি টাকা ১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে আমিরুল ইসলাম বলেন, দুর্নীতি যদি হয়ে থাকে তাহলে এ টাকায় হওয়ার কথা। তদন্ত হলে ব্যয় করা টাকা নিয়ে হোক। 

আফরোজ বিনতে আছির যা বলছেন

অস্বাভাবিক ব্যয় ধরে প্রাক্কলন তৈরির জন্য প্রকল্প পরিচালককে দায়ী করা হয়েছে। যদিও প্রকল্প পরিচালক বলেছেন, এটি সম্ভাব্য ব্যয়, চূড়ান্ত কিছু নয়। এরপর মাউশি’র সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) দিল আফরোজ বিনতে আছির এ প্রকল্পে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন এবং সম্ভাব্য মূল্য তালিকার প্রতি পৃষ্ঠায় তিনি স্বাক্ষর করেছেন। তারও প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের কথা। ভূমি অধিগ্রহণের সম্ভাব্য মূল্য তালিকা দেখে তিনি স্বাক্ষর করেছেন, এক্ষেত্রে তিনিও দায় এড়াতে পারেন না।

এ প্রসঙ্গে দিল আফরোজ বিনতে আছির ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘পরিকল্পনা কমিশনের নিয়ম হলো ডিপিপিতে ডেস্ক অফিসারের সিলসহ স্বাক্ষর থাকতে হবে। আমি ডেস্ক অফিসার হিসেবে প্রতি পৃষ্ঠায় স্বাক্ষর করেছি। প্রকল্পের সব দায়িত্ব প্রকল্প বাস্তবায়ন ইউনিটের (পিআইইউ)। তাই প্রকল্পের কোনো পর্যায়েই আমার সম্পৃক্ততা নেই।’

এনএম/এসকেডি/এমএআর/এমএমজে