গ্রামীণ সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পে পরামর্শকের জন্য ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে

ইউনিয়ন, উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে সড়ক নির্মাণের অভিজ্ঞতা কম নয়। তারপরও নতুন প্রকল্পের প্রস্তাবে পরামর্শকের আবদার করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। এবার ‘সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পে শুধু পরামর্শকের জন্য ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা চেয়েছে সংস্থাটি।

এলজিইডি’র এমন আবদারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) কয়েকজন কর্মকর্তার মন্তব্য, পরামর্শকের পেছনে এত টাকা কেন ব্যয় করতে হবে? উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে সড়ক নির্মাণে তাদের অভিজ্ঞতার কোনো ঘাটতি নেই। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের অসৎ উদ্দেশ্য থাকলে পরামর্শক বা বিভিন্ন অঙ্গভিত্তিক খাতে অতিরিক্ত ব্যয় ধরা হয়। 

আইএমইডি কর্মকর্তারা আরও বলেন, তাদের (এলজিইডি) প্রতিটি প্রকল্পেই গাড়ি কেনার সংস্থান থাকে। সংস্থাটির দফতরে গেলে দেখা যায়, ভেতরে ও বাইরে গাড়ি রাখার জায়গা নেই। এমন পরিস্থিতিতে কর্মকর্তাদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও একাধিক গাড়ি ব্যবহার করেন। এছাড়া স্বার্থসংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগগুলোতে এলজিইডি তাদের গাড়িগুলো দিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সার্ভিস দেয়। এটাও অন্যায়ভাবে করা হচ্ছে।

তাদের (এলজিইডি) প্রতিটি প্রকল্পেই গাড়ি কেনার সংস্থান থাকে। সংস্থাটির দফতরে গেলে দেখা যায়, ভেতরে ও বাইরে গাড়ি রাখার জায়গা নেই। এমন পরিস্থিতিতে কর্মকর্তাদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও একাধিক গাড়ি ব্যবহার করেন। এছাড়া স্বার্থসংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগগুলোতে এলজিইডি তাদের গাড়িগুলো দিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সার্ভিস দেয়। এটাও অন্যায়ভাবে করা হচ্ছে

আইএমইডি হচ্ছে সরকারের সকল উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের খবরদারি করা একমাত্র প্রতিষ্ঠান। এডিপিভুক্ত (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত) প্রকল্পগুলো সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না বা কোনো দুর্নীতি হলে সেগুলো আইএমইডি তাদের রিপোর্টে বিস্তারিত তুলে ধরে।

পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানা যায়, ‘সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পে দুটি জিপ, ৪৫টি মোটরসাইকেল এবং পাঁচটি ডাবল কেবিন পিকআপ কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে। ৫২টি গাড়ি কিনতে ব্যয় হবে চার কোটি ৯৬ লাখ টাকা। সম্প্রতি এলজিইডি’র সদর দফতর ঘুরে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়ির বেহাল দশা দেখে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্টের মহোৎসবের বিষয়টি নজরে আসে।

কতজন পরামর্শকের পেছনে সাড়ে ২২ কোটি টাকা খরচ হবে— এর ব্যাখ্যা দিতে পারেনি এলজিইডি

সরেজমিনে দেখা যায়, নামিদামি ব্র্যান্ডের অনেক গাড়ি অযত্নে, অবহেলায় পড়ে আছে। রোদ, ঝড়, বৃষ্টি আর ধুলায় এসব গাড়ির যন্ত্রাংশে মরিচা ধরেছে। একই স্থানে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকায় অনেক যানবাহন চলাচলক্ষমতা হারিয়েছে। নিয়মানুযায়ী,  সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যবহৃত যেকোনো গাড়ি প্রকল্প শেষে পরিবহন পুলে জমা দিতে হয়। কিন্তু এলজিইডি’র সদর দফতর প্রকল্প শেষ হলেও গাড়িগুলো পরিবহন পুলে জমা দেয় না বলেও অভিযোগ রয়েছে।

পরামর্শকের জন্য ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া জরিপের জন্য আড়াই কোটি টাকা, মোটরযানের জন্য ৬০ মাস লাগবে এক কোটি টাকা, দুটি জিপ এক কোটি ৮৮ লাখ টাকা, ৪৫টি মোটরসাইকেল ৬৩ লাখ টাকা, ডাবল কেবিন পিকআপের জন্য ব্যয় হবে দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা

প্রকল্পে যা বলা হয়েছে

‘সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব আকারে পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। প্রকল্পটির প্রস্তাবনায় মোট ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার কোটি টাকা। এটি অনুমোদনের পর গত বছরের জুলাই থেকে জুন ২০২৫ সালে বাস্তবায়ন করবে এলজিইডি। তবে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রকল্পটি গ্রহণের যৌক্তিকতা বুঝতে পারেনি।

প্রস্তাবিত ডিপিপিতে দেখা গেছে, পরামর্শকের জন্য ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া জরিপের জন্য আড়াই কোটি টাকা, মোটরযানের জন্য ৬০ মাস লাগবে এক কোটি টাকা, দুটি জিপ এক কোটি ৮৮ লাখ টাকা, ৪৫টি মোটরসাইকেল ৬৩ লাখ টাকা, ডাবল কেবিন পিকআপের জন্য ব্যয় হবে দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

কতজন পরামর্শকের পেছনে সাড়ে ২২ কোটি টাকা খরচ হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী ইকবাল আহমেদ বলেন, ‘লিস্টটা তৈরি করেছি’। তবে সুনির্দিষ্টভাবে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি তিনি। পরামর্শকের বিস্তারিত গ্রাফটা হোয়াটসঅ্যাপে এই প্রতিবেদককে পাঠাবেন বলে জানান। কিন্তু সেটিও পাঠাননি

৪৪০ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক নির্মাণ/পুনর্নির্মাণ (বিসি) করা হবে। এ খাতে প্রতি কিলোমিটার উপজেলা সড়ক নির্মাণ/পুনর্নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি ৭০ লাখ টাকা। মোট ৭৪৮ কোটি টাকা। ৭০ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক নির্মাণ/পুনর্নির্মাণে (আরসিসি) ব্যয় হবে ২২৪ কোটি টাকা। এখানে প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় ধরা হয়েছে তিন কোটি ২০ লাখ টাকা। দুই হাজার ২৬০ কিলোমিটার উপজেলা সড়কে ব্রিজ নির্মাণ/পুনর্নির্মাণ/সক্ষমতা বাড়াতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯৪ কোটি টাকা। এখানে প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় হবে লাখ টাকা। দুই হাজার ৪৫০ মিটার উপজেলা সড়কে ড্রেন-কালভার্ট নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৭ কোটি টাকা। এখানে প্রতি মিটারে ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় লাখ টাকা।

১৫৬টি বাস বে নির্মাণে ব্যয় হবে ৩১ কোটি ২০ লাখ টাকা। এ খাতে প্রতিটি বাস বে নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২০ লাখ টাকা। ৮০টি যাত্রী ছাউনি নির্মাণে আট কোটি টাকা ব্যয় হবে। প্রতিটি যাত্রী ছাউনির পেছনে খরচ হবে ১০ লাখ টাকা। ১১০টি ইন্টারসেকশন/লেভেল ক্রসিং পয়েন্ট নির্মাণে ব্যয় হবে ৪৪ কোটি টাকা। সড়ক রক্ষাপ্রদ কাজ (সিসি ব্লক, টো-ওয়াল) ১৮ হাজার বর্গমিটারে ব্যয় হবে ৭২ কোটি টাকা। ৪৪০ কিলোমিটার মাটির কাজে ৮৬ কোটি টাকা এবং ৪০ কিলোমিটার সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে ২০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী ইকবাল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘প্রকল্পের আওতায় হাইড্রোলজি ও মর্ফোলজিতে ২৭টি ব্রিজ আছে। হাইড্রোলজি ও মর্ফোলজির জন্য লাগবে পরামর্শক। এছাড়া ডিজাইন ও সুপারভিশন কনসালটেন্ট লাগবে।’ কতজন পরামর্শকের পেছনে সাড়ে ২২ কোটি টাকা খরচ হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘লিস্টটা তৈরি করেছি’। তবে সুনির্দিষ্টভাবে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি তিনি। পরামর্শকের বিস্তারিত গ্রাফটা হোয়াটসঅ্যাপে এই প্রতিবেদককে পাঠাবেন বলে জানান। কিন্তু সেটিও পাঠাননি।

উপজেলায় সড়ক নির্মাণ ও প্রশস্তকরণে ৯০ লাখ থেকে এক কোটি টাকা খরচ হয় বলে পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান। এছাড়া উপজেলা সড়কগুলো ১২ ফিটের। প্রকল্পের আওতায় রাস্তাগুলো ১৮ ফিট করা হবে। তাহলে ১৮ ফিটের মধ্যে ১২ ফিটের রাস্তা তো করাই আছে। তারপরও কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় এক কোটি ৭০ লাখ টাকা কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী ইকবাল আহমেদ বলেন, ‘আমরা রাস্তাগুলো শক্তিশালী করব। রোডের হাইট (উচ্চতা) বাড়ানো হবে। এ হিসাবেই ব্যয় নির্ধারণ আছে। এক কোটি ৭০ লাখ টাকা হলো গড় হিসাব। বুয়েটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোডের হাইট নির্ধারণ করা হয়েছে।’

৫২টি গাড়ি কিনতে ব্যয় হবে ৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, অথচ এলজিইডিতে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে অসংখ্য গাড়ি

১৫৬টি বাস বে’র জন্য ৩১ কোটি টাকা ব্যয় চাওয়া হয়েছে। এখানে প্রতিটি বাস বে’র দৈর্ঘ্য কত ধরা হয়েছে এবং এখানে কী কী থাকবে— এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি ইকবাল আহমেদ। তবে তিনি জানান, আমাদের ডিজাইনটা সেভাবে করা হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম প্রধান রবীন্দ্রনাথ বর্মন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ প্রকল্পের পিইসি সভা হয়েছে। সভায় আমাদের পক্ষ থেকে অনেক বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। পরামর্শকের ব্যয় যৌক্তিকভাবে নির্ধারণের জন্য আমরা সবসময়ই বলে থাকি। শুধু পরামর্শকই নয়, অনেক খাতের ব্যয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন ছিল। সেগুলো সংশোধন করে ডিপিপি পুনরায় পাঠানোর জন্য বলেছি।

পরিকল্পনা কমিশনের মতামত

১. প্রকল্পের উদ্দেশ্য, পটভূমি, প্রকল্প গ্রহণের যৌক্তিকতা, অর্থায়ন প্রাপ্তির সম্ভাব্যতা ইত্যাদি সম্বলিত একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন পিইসি সভায় উপস্থাপন করতে হবে।

২. প্রকল্পের উদ্দেশ্যসমূহ সুনির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য, বাস্তবায়নযোগ্য, বাস্তবভিত্তিক, সময়ভিত্তিক আকারে প্রতিফলন করা হয়নি। ডিপিপি’র ফরমেটসহ লগফ্রেমের কাঠামোগত ও তথ্যগত উপাত্ত সঠিকভাবে প্রতিফলনের প্রয়োজন।

৩. এলজিইডি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন অপর একটি প্রকল্পের (সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প) আওতায় বাস্তবায়নাধীন স্কিমসমূহের এলাকা ও প্রস্তাবিত প্রকল্পের এলাকাসমূহ হুবহু এক। কাজেই বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পভুক্ত কোনো রাস্তা যেন প্রস্তাবিত প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা না হয় সে বিষয়ে সংস্থাকে নিশ্চয়তা দিতে হবে।

৪. প্রকল্পের আওতায় সড়ক নির্মাণ পুনর্নির্মাণবাবদ প্রতি কিলোমিটারের ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে। বিসি সড়ক এক কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং আরসিসি সড়ক তিন কোটি ২০ লাখ টাকা, যা অত্যধিক বলে মনে হয়। প্রকল্পের প্রাক্কলনের ভিত্তি সভায় পর্যালোচনা করতে হবে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়

৫. কনসালটেন্সি খাতে ৬০ মাসের জন্য ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। ডিপিপিতে পরামর্শকের প্রয়োজনীয়তা, পরামর্শকের ক্যাটাগরি অনুযায়ী নাম, সংখ্যা, জনমাস, মাসিক সম্মানী ভাতা, কার্যপরিধি (টিওআর) উল্লেখ করা প্রয়োজন। তাছাড়া, পরামর্শক খাতে এত অধিক পরিমাণ ব্যয়ের বিষয়ে সভায় আলোচনা করতে হবে।

৬. প্রস্তাবিত প্রকল্পের ডিপিপি পরীক্ষান্তে দেখা যায় যে, এতে সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন (পৃষ্ঠা ৭০-৭৮) সংযুক্তি করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবেদনটি যথাযথ মানোন্নয়নে আরও তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে (সড়কের কারিগরি দিক, জমির সংস্থান, সড়কের উপযোগিতা/প্রয়োজনীয়তা, অর্থনৈতিক দিক, সামাজিক দিকসহ অন্যান্য বিষয়) তথ্যবহুল হওয়া প্রয়োজন। এ প্রতিবেদন প্রস্তুতিতে কোন কোন কর্মকর্তা বা সংস্থা দায়িত্ব পালন করেছিল তাদের কোনো সিল/স্বাক্ষর নেই।

৭. প্রকল্পের আবাসিক ভবন ভাড়া বাবদ এক কোটি ৭০ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে সভায় আলোচনা করতে হবে।

৮. ‘সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১২টি রোড রোলার ক্রয় করা হয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় আরও ১২টি রোড রোলারের প্রয়োজন আছে কি না, বিষয়টি আলোচনা করতে হবে।

৯. প্রস্তাবিত প্রকল্পে ২১০ একর ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ ৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকার (প্রতি ডেসিমেল ২৫ হাজার টাকা) প্রস্তাব করা হয়েছে। বিবেচ্য প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা পর্যালোচনা করা প্রয়োজন এবং ভূমির মূল্য সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র ডিপিপিতে সংযুক্ত করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।

১০. প্রকল্পের আওতায় মোট ১৫৮ জনবলের (কর্মকর্তা ৫৩ ও কর্মচারী ১০৫) বিষয়ে অর্থ বিভাগের জনবল নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটির সুপারিশ ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত নেই। জনবল কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী জনবলের সংখ্যা ও বেতন-ভাতাদি নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়া, প্রকল্পে দুটি জিপ, ৪৫টি মোটরসাইকেল ও পাঁচটি ডাবল কেবিন পিকআপ, পাঁচটি অফিস সরঞ্জামাদি (ডিজিটাল ফটোকপি), চারটি লো বেড ট্রেইলর ক্রয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব যানবাহন ক্রয়ের বিষয়ে সভায় আলোচনা প্রয়োজন।

এসআর/এমএআর/