থাইরয়েডজনিত রোগ মোকাবিলায় সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (বিএসএসএমইউ) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই বারডেম হাসপাতাল, থাইরয়েড মোকাবিলায় এই দুই প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য মেডিকেল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহকে এগিয়ে আসতে হবে।

বুধবার (২৫ মে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব থাইরয়েড দিবস-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করে বাংলাদেশ এন্ড্রোক্রাইন সোসাইটি ও বাংলাদেশ থাইরয়েড সোসাইটি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে বর্তমানে বিপুল জনগোষ্ঠী থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত। এদের অর্ধেকের বেশিই জানে না যে তারা থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছে। বাংলাদেশে থাইরয়েড সমস্যার সকল ধরনকে এক সাথে হিসেব করলে তা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশের কাছাকাছি হবে।

তিনি বলেন, প্রতিটি দিবসের উদ্দেশ্য হলো জনগণকে সচেতন করা। আজ বিশ্ব থাইরয়েড দিবসের উদ্দেশ্যও তাই। ভয়াবহ এই রোগ থেকে বাঁচতে সবাইকেই আরও সচেতন হতে হবে।

বক্তারা বলেন, দেশে প্রাপ্ত বয়স্ক নারীদের প্রায় ২ শতাংশ এবং পুরুষদের প্রায় ০.২ শতাংশ হাইপারথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড হরমোনের বৃদ্ধি জনিত সমস্যা) রোগে ভোগেন। ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ, নারীদের মধ্যে ৩.৯ শতাংশ থেকে ৯.৪ শতাংশ হারে হাইপোথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতিজনিত সমস্যা) থাকতে পারে। আরও প্রায় ৭% নারী ও পুরুষ সাবক্লিনিক্যাল হাইপোথাইরয়েডিজমে ভুগেন। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, নার্সিং ও মেডিক্যাল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, হোমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন শাহ, সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক হোসেন, সহযোগী  অধ্যাপক ডা. মো. রাসেল, এন্ড্রোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহাজাদা সেলিম প্রমুখ।

টিআই/এসকেডি