মাথা ব্যথায় ভোগেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কষ্টের। এই সমস্যা থেকে ওষুধ মুক্তি দিলেও সেটা সাময়িক। সামান্য কারণে যেমন মাথা ব্যথা হয়, তেমনি অনেক বড় অসুখের জন্যও মাথা ব্যথা হয়। তাই এ সমস্যার সঠিক কারণ খুঁজে বের করে যথাযথ চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন।

অনেকেই জানতে চান মাথা ব্যথার ঘরোয়া প্রতিকার কী? তো চলুন জানা যাক কিছু প্রাকৃতিক উপায়, যার মাধ্যমে আপনি মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

নিজেকে হাইড্রেট করুন

ডিহাইড্রেশন মাথা ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে। প্রচুর পরিমাণে পানি, ফলের রস গ্রহণ করলে মাথা ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। এর পাশাপাশি চা এবং কফির মতো ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় পরিহার করা উচিত। কারণ এগুলো শরীরকে ডিহাইড্রেট করে।

মাথায় ম্যাসাজ করুন

হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে মাথার ব্যথা হওয়া অংশে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন। ৭-১৫ সেকেন্ডের জন্য চাপ বজায় রাখুন, তারপর ছেড়ে দিন। প্রয়োজন অনুযায়ী বার বার করুন। ম্যাসাজ টাইট পেশীর উপশম করে এবং রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে।

ব্যালেন্স ডায়েট এবং টাইম টেবিল

দিনের চারটি মিলের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় অনুসরণ করা উচিত। মস্তিষ্কের গ্লুকোজ প্রয়োজন। কারণ গ্লুকোজের অভাব হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। যার কারণে মাথা ব্যথা হতে পারে। তাই আপনার শরীরের মেটাবোলিজম সঠিকভাবে চলার জন্য সময়মতো খাবার খাওয়া উচিত।

পর্যাপ্ত ঘুম

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব বা ঘুম ব্যাহত হওয়া তাই মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ। গড়ে ৬-৮ ঘণ্টা বিরতিহীন ঘুম অপরিহার্য। এক্ষেত্রে বালিশের পুরুত্ব খুব বেশি হওয়া উচিত নয়।

কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নিন

আপনার চোখ বন্ধ করুন। একটি কম আলোকিত ঘরে বসে পিঠ, ঘাড় এবং কাঁধকে আরাম অবস্থায় রাখুন। এই সময় শারীরিক পরিশ্রম করা এড়িয়ে চলুন।

গরম পানিতে গোসল

শাওয়ারে দাঁড়ান এবং গরম পানি আপনার ঘাড় এবং পিছনের দিকে যেতে দিন। এতে করে আপনার মাথা ও ঘাড়ের পেশী ঢিলে হয়ে যাবে। এটি রক্ত ​​প্রবাহকে উন্নত করবে।

মানসিক চাপ কমান

মানসিক চাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। এছাড়া চোখ বন্ধ করে সুন্দর চিন্তা ভাবনা করুন।

তাজা বাতাসে নিঃশ্বাস নিন

গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম মাথা ব্যথা উপশমে সাহায্য করে। তাজা বাতাসে এটি করা হলে তা প্রাকৃতিক মাথা ব্যথার চিকিৎসা হিসেবে বেশি কার্যকর হবে।

এমএইচএস