বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত নয় বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু।

তিনি বলেন, আমরা একটা জিনিস লক্ষ করি—আমাদের দেশের হাজার হাজার রোগী চিকিৎসার জন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে পাড়ি জমায়। এর একটাই কারণ সেটা হচ্ছে আমাদের চিকিৎসাসেবা ওদের চেয়ে উত্তম নয়। এ বিষয়ে আমি ওখানকার অনেক বড় বড় ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেছি।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) হোমিওপ্যাথি ডাক্তারদের সংগঠন হোমিও পেশাজীবী সমিতির (হোপেস) ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত জাতীয় সম্মেলন-২০২২ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

সংগঠনটির উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান ছবি বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও ডা. মো. ইউসুফ আলী অনিম ও ডা. মোহাম্মদ লোকমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের রেজিস্ট্রার ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম।

দেশের ডাক্তারদের সমালোচনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমরা একজন রোগীকে সময় দিতে চাই না। কত তাড়াতাড়ি এই রোগীকে বিদায় করে আর একজন রোগী দেখব, এই মানসিকতাই সবচেয়ে বড়। আমি অনেক দেশে দেখেছি যেখানে ডাক্তাররা রোগীর সঙ্গে অনেক সময় কাটান। একজন ডাক্তার যদি রোগীর সঙ্গে কথা বলেন তাহলে রোগী মানসিকভাবে অনেক শক্তিশালী হয়। এতে রোগী খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়।

বাংলাদেশের উন্নতিকে কিছু রাজনৈতিক দল বিকৃতভাবে প্রকাশ করছেন বলে উল্লেখ করে আশরাফ আলী বলেন, আমরা উন্নতির দিকে এগিয়ে চলেছি। কিন্তু আজকে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে যে মন্দা দেখা দিয়েছে সেটার ছোঁয়া আমাদের দেশেও লেগেছে। কিছু রাজনৈতিক দল আছে তারা এটাকে বিকৃতভাবে প্রকাশ করছে। তারা বলছে আমাদের দেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে। কিন্তু আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাংক বলেছে বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক কাঠামোতে চলছে, এই দেশ দেউলিয়া হবে না‌। এসময় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাকে আওয়ামী লীগ সরকার সর্বপ্রথম স্বীকৃতি দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।

হোপেসের দিনব্যাপী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার বড়ুয়া, ঢাবির সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. অসীম কুমার সরকার ও ম্যাক্সফেয়ার অ্যান্ড কোম্পাপি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এস এ এম রেজা-উর রহিম প্রমুখ।

এইচআর/কেএ