চিকিৎসার জন্য গর্ভবতী নারীরা বেসরকারি কোনো হাসপাতালে গেলেই তাদের সিজার করে দেওয়া হয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজন ছাড়া সিজার হয় না। কারণ সিজার হলে তাদের আলাদা কোনো লাভ নেই। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে সিজার হলেই অতিরিক্ত সুবিধা।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘আরবার হেলথ সার্ভে-২১’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। এ সেমিনারের আয়োজন করে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (নিপোর্ট)।

আরও পড়ুন>>৫০ জেলায় ডেঙ্গু দেখা দিয়েছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলো সবসময় ব্যবসায়িক স্বার্থ লালন করে। সরকারি হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডেলিভারি করা হয়। প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি আমাদের আরও বাড়াতে হবে। তাহলে শিশু ও মাতৃমৃত্যু কমে যাবে। এক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা সেবাদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে মাঠের যদি সঠিক তথ্য পাই, তাহলে মাঠের মূল চিত্রটা আমাদের কাছে আসে। কাজের ক্ষেত্রে আমরা কতটা পিছিয়ে আছি, কতটুকু সফলতা অর্জন হয়েছে সেটাও জানতে পারি। সবমিলিয়ে আমাদের করণীয় ঠিক করতে পারি।

আরও পড়ুন>>৯০ শতাংশ যক্ষ্মা রোগীই সুস্থ হচ্ছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যখাতে সফলতার চিত্র তুলে ধরে জাহিদ মালেক বলেন, কোভিড নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা সক্ষম হয়েছি। আমরা টিকায় সফল হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। আটটি বিভাগে আটটি নতুন হাসপাতালের কাজ শুরু করেছি। এটিই আমাদের শেষ বছর। যেসব কাজ চলমান আছে, এগুলো সম্পন্ন করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো দক্ষ জনবলের অভাব। এছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় জনবল অনেক কম। প্রতি ১০ হাজার মানুষের সেবা দিতে আমাদের মাত্র ২৩/২৪ জনবল আছে, যেখানে অন্যান্য দেশে ৮০/৯০ জন করে আছে।

আরও পড়ুন>>মানসিক স্বাস্থ্যকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিপোর্টের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত সচিব মো. শাহজাহান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এবং চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল ইসলাম বাদল।

টিআই/কেএ