শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। আর কিছু হলেই আমরা ডাক্তারের কাছে ছুটে যাই। কিন্তু সবক্ষেত্রে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। কারণ আমাদের চারপাশে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান আছে যা দিয়ে আমাদের সমস্যার সমাধান নিজেরাই করতে পারব। সেরকমই একটা ঔষধি গুণে ভরপুর প্রাকৃতিক উপাদান হচ্ছে বাসক পাতা।

গ্রামের দিকে খুব সহজেই এই পাতা পাওয়া যায়। এই বাসক পাতার রয়েছে বিভিন্ন উপকারিতা । বাসক পাতা ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন রোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারি।

একনজরে দেখে নেই বাসক পাতার উপকারিতা

১. বাসক পাতার রসের সঙ্গে এক চামচ মধু বাচ্চাদের খাওয়াতে পারলে সর্দি কাশি থেকে অনেকটাই আরাম পাওয়া যায়।

২. বাসক পাতার রস যদি আমরা গোসলের কিছুক্ষণ আগে মাথায় দিয়ে রাখি এবং তারপর ভাল করে মাথা ধুয়ে নিই তাহলে উকুন মরে যায়।

৩. আমাদের শরীরে ছোট ফোঁড়া অথবা ব্যথা দেখা দিলে যদি বাসক পাতা ভাল করে বেঁটে ফোঁড়ার উপর লাগানো যায় তাহলে ব্যথা কমে যায়।

৪. ঠান্ডার কারণে বুকে কফ জমে থাকে এবং অতিরিক্ত কাশি হয় , কফ যদি না ওঠে তাহলে সেক্ষেত্রে বাসক পাতার রস ১ চামচ মধুসহ খেলে বুকে জমে থাকা কফ খুব সহজেই উঠে আসবে।

৫. প্রস্রাব করার সময় যদি কারও জ্বালা-যন্ত্রণা করে তাহলে তারা বাসক গাছের ফুল বেঁটে মিছরি দিয়ে শরবত করে খেলে এই রোগ থেকে উপকার পাওয়া যায়।

৬. বাসক গাছের দশ থেকে পনেরোটি কচি পাতা এবং এক টুকরো কাঁচা হলুদ একসঙ্গে বেঁটে দাদ বা চুলকানিতে লাগালে কিছু দিনের মধ্যে তা ভালো হয়ে যায়।

৭. বাসক পাতার রস বেঁটে যদি এক কাপ করে নিয়মিত খাওয়া যায় তাহলে জন্ডিস রোগ থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।

৮. পাইরিয়া বা দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়লে বাসক পাতা ভাল করে ধুয়ে পানি দিয়ে সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে কুলকুচি করলে এই সমস্যা ধিরে ধিরে ঠিক হয়ে যাবে।

৯. জ্বর, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকলেও বাসক পাতা থেকে বিশেষ উপকারিতা পাওয়া যায়।

১০. বাসক পাতা বাতের ব্যথারও উপশম ঘটায়। এতে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। যা বাতের ব্যথা নিরাময়ে সাহায্য করে। 

এখানে উল্লিখিত সকল বিষয় শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, শরীরে বিশেষ সমস্যা থাকলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। সূত্র- নিউজ ১৮

এমজে