চোখের চিকিৎসার জন্য প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আনল অপটিকস ও অপটোইলেক্ট্রনিক্স টেকনোলজিতে শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান জায়েস। ভিজ্যুম্যাক্স ৮০০ এবং কোয়াটেরা ৭০০ নামের এ প্রযুক্তি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। 

শুক্রবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জায়েস ও বাংলাদেশ আই হসপিটাল যৌথভাবে ‘অপথালমিক কনক্লেভ ২০২৩’নামের এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আই হসপিটালের চেয়ারম্যান ডা. মাহবুবুর রহমান চৌধুরীসহ নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, প্রখ্যাত সার্জনগণ এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত অন্যান্য পেশাজীবীগণ।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, আশা করি জায়েস বাংলাদেশে উন্নত সেবা প্রদান করবে। এ ক্ষেত্রে সরকার সবধরনের সহযোগিতা করবে। তবে চিকিৎসা সরঞ্জামাদি আনার পাশাপাশি তাদেরকে এখানে গবেষণা ও প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে কার্ল জায়েস ইন্ডিয়া (ব্যাঙ্গালোর) প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিগুয়েল গঞ্জালেজ ডিয়াজ বলেন, জায়েস গ্রুপের জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রাণবন্ত এই দেশে আমাদের উপস্থিতি এবং অংশীদারিত্ব জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বহুমুখী স্বাস্থ্যসেবা ও মেধাবী চিকিৎসকদের কারণে বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি ও অংশীদারিত্বের অনেক সুযোগ রয়েছে। 

জায়েস গ্রুপের সার্ক অঞ্চলের রিজিওনাল হেড বিকাশ সাক্সেনা বলেন, “আমরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা কমিউনিটিতে ভিজ্যুম্যাক্স ৮০০ এবং কোয়াটেরা ৭০০ নিয়ে আসতে পেরে আনন্দিত। উদ্ভাবন এবং উৎকর্ষের প্রতি জায়েস সবসময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্ভুল ও নিরাপদভাবে দৃষ্টির স্বচ্ছতা দিতে সক্ষম অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রদানের মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত পেশাজীবীদের সহযোগিতা করে রোগীদের সেবার মান বৃদ্ধি করতে চাই। বাংলাদেশে চোখের চিকিৎসা ও সার্জারির অগ্রগতিতে অবদান রাখতে পেরে এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় একটি ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা পালন করতে পেরে আমরা খুশি।”

প্রসঙ্গত, ভিজ্যুম্যাক্স ৮০০ একটি যুগান্তকারী ফেমটোসেকেন্ড লেজার প্ল্যাটফর্ম, যা চোখের বিভিন্ন চিকিৎসা নির্ভুল ও নিরাপদ প্রক্রিয়ায় সম্পাদন করতে সহায়তা করে। এর উন্নত প্রযুক্তি ও কার্যকর ডিজাইনের ফলে সার্জনরা আরও নির্ভরযোগ্যতার সাথে স্বল্প সময়ে ল্যাসিক এবং স্মাইলের মতো কর্নিয়াল রিফ্র্যাক্টিভ সার্জারি সম্পন্ন করতে পারবেন। অভিনব এই ডিভাইসটি রোগীদের স্বাচ্ছন্দ্য, দ্রুত আরোগ্য লাভ ও দৃষ্টির স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশে চোখের চিকিৎসার অগ্রগতিতে জায়েসের ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নকে এই উদ্যোগ বেগবান করবে।

-বিজ্ঞপ্তি