দেশের মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিতে কমিউনিটি ক্লিনিক অনন্য একটি উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক আজ সারাবিশ্বেই নাম করছে। এরইমধ্যে ৭৫টি দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণাকে সরাসরি গ্রহণ করেছেন। এটি আমাদের জন্য গর্বের।

সোমবার (৫ জুন) রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে কমিউনিটি ক্লিনিককে প্রধানমন্ত্রীর নামে 'দ্যা শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ' হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের এই উদ্যোগের ধারণা প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে পেয়েছেন। এখন সারাবিশ্ব এটিকে গ্রহণ করেছে কারণ সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত সবচেয়ে জরুরি। যা এই কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে করা সম্ভব হচ্ছে।

জাহিদ মালেক বলেন, সারাদেশে ১৪ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এসব ক্লিনিকে ৩২ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। প্রতিটি ক্লিনিকে প্রতিদিন প্রায় ৪০ জন মানুষ সেবা নেয়। সেই হিসেবে সারাদেশে দিনে ৫ থেকে ৭ লাখ দিনে, মাসে দেড় কোটি এবং বছরে ১৮ কোটি মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা পাচ্ছে।

কমিউনিটি ক্লিনিকের সফলতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিতের ফলে মানুষের স্বাস্থ্যগত উন্নতি হয়েছে। বড় ধরনের রোগ থেকে মানুষ সতর্ক হতে পারছে। এতে দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। আমরা এমডিজি অর্জন করেছি। এটি বাস্তবায়নে কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। করোনা ও ইপিআইয়ের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমও ভূমিকা রেখেছে কমিউনিটি ক্লিনিক। এটি শুধু একটি একক উদ্যোগ নয়, এটি একাধিক মহৎ উদ্যোগের সম্মিলিত রূপ। বর্তমান সরকারের প্রাপ্ত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিগুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি এসেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হাত ধরে। কমিউনিটি ক্লিনিকও সেসব খাতের অন্যতম।

এ সময় দেশের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে কমিউনিটি ক্লিনিকের অবদানের কথা স্মরণ করে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের বেতন ভাতা বাড়ানোর আশ্বাস দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

অধ্যাপক খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন প্রমুখ।

টিআই/জেডএস