ডিএনসিসি করোনা হাসপাতালের চিকিৎসায় সন্তুষ্ট রোগীরা
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবায় চালু হওয়া ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালের চিকিৎসা সন্তোষজনক। তারপরও যাদের অবস্থা বেশি খারাপ তাদের আইসিইউ সাপোর্ট দিয়েও বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না। রোগীর স্বজনরা বলছেন, শুরু থেকে আইসিইউ পাওয়াসহ অন্য সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট তারা।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া করোনা রোগীর স্বজনরা এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মাহমুদ নামে একজন বলেন, আমার রোগী আইসিইউতে আছেন। গতকাল রাতে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আমরা আশাও ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু ভোর রাতে আবার জ্ঞান ফিরেছে।
আরও পড়ুন : অইসিইউতে নেওয়ার পরই মারা যাচ্ছেন অধিকাংশ রোগী
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও অক্সিজেন সিলিন্ডারের সমস্যা ছিল। ফলে শ্বাস নিতে রোগীর সমস্যা হয়েছিল। তবে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা বলেছেন, আজ (সোমবার) বিকেলের মধ্যে অক্সিজেন পরিবর্তন করে দেবেন। এছাড়া সবকিছুই ঠিক আছে।
খোদেজা নামে এক করোনা রোগী সরাসরি এই হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হয়েছিলেন। কোভিড আক্রান্ত এই রোগী চূড়ান্ত স্টেজে থাকার ফলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
করোনায় মারা যাওয়া খোদেজার মেয়ে কবিতা ঢাকা পোস্টকে জানান, আমার মা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। এতো দিন বাসায় থেকে চিকিৎসা নিলেও অবস্থা খারাপ হওয়ায় এ হাসপাতালে ভর্তি করছি গতকাল। কিন্তু করোনায় শেষ রক্ষা হলো না আমার মায়ের। মায়ের অবস্থা খারাপ ছিল বিধায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের সরাসরি আইসিইউ বেড দেয়। কিন্তু তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে সহযোগিতা পেয়েছি।
উল্লেখ্য, এর আগে ১৮ এপ্রিল স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালের উদ্বোধন করেন। এক হাজার শয্যার এই হাসপাতালের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল’।
আরও পড়ুন : আইসিইউর খোঁজে স্বজনদের ভিড়
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে দেশের বৃহত্তর করোনা হাসপাতাল ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল’র উদ্বোধনের পর গত সোমবার ১৯ এপ্রিল সকাল ৮টা থেকে হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তিসহ সব চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা রয়েছে। প্রথমদিনে হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে ৫০ শয্যার আইসিইউ, ৫০ শয্যার ইমার্জেন্সি, যা অনেকটা আইসিইউর মতোই, এখানে হাই ফ্লো নাজাল ক্যানোলা, সেন্ট্রাল অক্সিজেনসহ সবকিছু থাকবে। এছাড়া ১৫০টি (সিঙ্গেল) রুমের আইসোলেশন ব্যবস্থা এখানে রয়েছে।
এসআর/এসকেডি