দুই ডোজে করোনা ভাইরাসের দুই রকমের ভ্যাকসিন নিতে তত্ত্বগতভাবে কোনো সমস্যা না থাকলেও ভারতে এটা চালু করার মতো পর্যাপ্ত বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্ত নেই। ভারতের একজন শীর্ষ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. ভি কে পাল এমন মন্তব্য করেছেন।  

তিনি বলছেন, বৈজ্ঞানিকভাবে এটা সম্ভব। এ বিষয়ে গবেষণাও চলছে। অন্যান্য দেশে ও ভারতে এ সংক্রান্ত যে তথ্য আছে তা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। 

ভারতের এই শীর্ষ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, বৈজ্ঞানিকভাবে এটা সম্ভব, কিন্তু এটা নিয়ে আরও জানাশোনার প্রয়োজন আছে। এখনই নিশ্চিত করে ভারতে এটা চালু করার পক্ষে মত দেওয়া সম্ভব না। এর পক্ষে শক্ত কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। সময়ই বলে দেবে ভবিষ্যতে আমরা এটা করতে পারবো কি না। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গবেষণা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো নানা বিষয়ের ওপর এটা নির্ভর করবে। আমাদের বিশেষজ্ঞরাও বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। 

তিনি আরও যোগ করেন, একটি টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর সেটা শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এরপরে দ্বিতীয় ডোজে অন্য টিকা নেওয়া হলেও অ্যান্টিবডির পরিমাণ বাড়বে। বৈজ্ঞানিকভাবে এখানে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তা যে হবে, সে বিষয়ে আমাদের তথ্য-নির্ভর ডেটা দরকার। 

কিছু গবেষেণায় দেখা গেছে, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজে দুরকমের টিকা ব্যবহার করা হলে তা কোভিড-১৯ ঠেকাতে আরও ভালোভাবে কার্যকরী। স্পেনের গবেষকরা বলছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক ডোজ নিয়ে দ্বিতীয় ডোজে ফাইজারের টিকা নিরাপদ। তবে এটি এখনও কোনো জার্নালে প্রকাশিত হয়নি। 

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।  

এনএফ