দেশে ক্যান্সার চিকিৎসা ও গবেষণা এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমইউ) একটি পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

রোববার (১৬ নভেম্বর) বিএমইউ’র ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগে ফুসফুসের ক্যান্সার চিকিৎসা, রোগ নির্ণয় এবং আধুনিক রেডিয়েশন প্রযুক্তি নিয়ে দুই দিনব্যাপী একাডেমিক সেশনের সমাপনী অনুষ্ঠানে তারা এসব উত্থাপন করেন।

‘ফুসফুসের ক্যান্সার চিকিৎসা ও আধুনিক রেডিয়েশন প্রযুক্তির ব্যবহার’ বিষয়ক এ সেশনে যুক্তরাজ্যের সাউথঅ্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের পরামর্শক চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম বক্তৃতা দেন। তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারের বিভিন্ন ধাপ, ঝুঁকি নির্ধারণ, রোগী মূল্যায়নের পদ্ধতি এবং উন্নত রেডিয়েশন প্রযুক্তির বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি তুলে ধরেন। চিকিৎসার সর্বশেষ অগ্রগতি ও আন্তর্জাতিক নির্দেশনার আলোকে রোগীর জন্য উপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণের কৌশল নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সেশনে রোগীর নিরাপদ ব্যবস্থাপনা, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত চিকিৎসা–পদ্ধতি, আধুনিক রেডিয়েশন প্রয়োগ, বিস্তৃত রোগ মূল্যায়ন এবং সর্বশেষ ওষুধভিত্তিক চিকিৎসা নিয়ে আলাপ–আলোচনা হয়। এতে অংশ নেন এমডি ও এফসিপিএস কোর্সের রেসিডেন্ট চিকিৎসকেরা।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএমইউর গবেষণা ও উন্নয়ন অনুষদের উপাচার্য (প্রো–ভাইস চ্যান্সেলর) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, একজন অনকোলজি চিকিৎসকের জন্য সবচেয়ে জরুরি হলো আধুনিক প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা জানা এবং নিয়মিতভাবে নিজের জ্ঞান হালনাগাদ রাখা। তিনি বলেন, সঠিক ও আধুনিক জ্ঞানই রোগীর উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, দেশের ক্যান্সার চিকিৎসা ও গবেষণার অগ্রগতি এগিয়ে নিতে বিএমইউতে একটি পূর্ণাঙ্গ “বিএমইউ ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট” প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি। ভবিষ্যৎ অনকোলজি চিকিৎসক তৈরি, গবেষণায় সক্ষমতা বাড়ানো এবং দেশের ক্যান্সার–সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই ইনস্টিটিউট অপরিহার্য হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন।

বিএমইউ জানিয়েছে, ভবিষ্যতেও আন্তর্জাতিক মানের একাডেমিক সহযোগিতা, বৈজ্ঞানিক বক্তৃতা ও বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নিয়মিত আয়োজন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতে, এসব কার্যক্রম দেশের ক্যান্সার চিকিৎসা–ব্যবস্থার মান উন্নয়ন এবং আধুনিক চিকিৎসা–পদ্ধতির প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

টিআই/জেডএস