দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণে সর্বমোট তিন হাজার ৮৮ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ১৮৩ জন চিকিৎসক। 

পেশাজীবী চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এই তথ্য জানিয়েছে। সোমবার (৯ আগস্ট) সংগঠনটির সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিএমএ জানিয়েছে, দেশে এ পর্যন্ত ১৮০ জন মেডিকেল ও ৩ জন ডেন্টাল সার্জনসহ মোট ১৮৩ জন চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেডিকেল চিকিৎসক ২৫ জন, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ৭৮ জন, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত/অবসরপ্রাপ্ত ৭ জন, বেসরকারি/জেনারেল প্র্যাকটিশনার্স ৬৯ জন এবং আর্মি মেডিকেল কলেজে কর্মরত একজন রয়েছেন।

এছাড়াও ডেন্টাল চিকিৎসকদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা দুই জন এবং বেসরকারি/জেনারেল প্র্যাকটিশনার্স রয়েছেন একজন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৮৮ জন চিকিৎসক। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন ঢাকা বিভাগে ৮৬২ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৯২ জন, সিলেট বিভাগে ৩৪৯ জন চিকিৎসক। এছাড়াও সারাদেশে দুই হাজার ২৪৯ জন নার্স ও চার হাজার এক জন অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট নয় হাজার ৩৩৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন।

করোনায় দেশে প্রথম চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছিল গত বছরের ১৫ এপ্রিল। ওইদিন মারা যান সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দীন আহমদ (৪৭)। ডা. মঈন উদ্দীন আহমেদ করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়েই সংক্রমিত হয়েছিলেন। এরপর ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

সর্বশেষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ডা. আতিক উল্লাহ লেনিন (৪৬) নামের এক চিকিৎসক। রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। রোববার (৮ আগস্ট) দুপুর পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন (আইসিইউ) অবস্থায় তিনি মারা যান।

টিআই/জেডএস