১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের করোনার টিকা দেওয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কাছে অনুমতি চেয়েছে বাংলাদেশ। তাদের অনুমোদন মিললে এ টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে। 

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হলো টিকা যাদের দেওয়া সম্ভব সবাইকে দিতে হবে। ১২ থেকে ১৭ বছরের যারা আছেন, তাদেরও দেওয়া হবে। কিন্তু শর্ত আছে। ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন আমাদের পেতে হবে। আমাদের টেকনিক্যাল কমিটির অনুমোদনও পেতে হবে। যার অপেক্ষায় আছি।’

১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের সংখ্যা অনেক বেশি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সে সংখ্যার টিকাও হাতে থাকতে হবে। কাজেই সে টিকার ব্যবস্থা আমরা করছি এবং ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন সাপেক্ষে আমরা এ টিকাগুলো দিতে পারব।’ 

ইতোমধ্যে কয়েকটি দেশে ১২ বছরের এবং তার ঊর্ধ্বে টিকা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘২২টি দেশে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ডব্লিউএইচও এখনো ফরমালি অনুমোদন দেয়নি। এটা যে-যে দেশে দিচ্ছে তারা নিজেদের দিচ্ছে, নিজেদের মতো করে এবং নিজেদের আইন অনুযায়ী।’

‘আমরা ডব্লিউএইচও’র কাছে অলরেডি আবেদন করেছি, বলেছি তারা এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত আমাদের দেওয়ার জন্য। আমরা সিদ্ধান্ত পেলে তখন কার্যক্রম শুরু করতে পারব, সে অপেক্ষায় এখন আমরা আছি।’

১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের কোন টিকা দেওয়া হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘যে সমস্ত দেশে দেওয়া হচ্ছে সেখানে ফাইজার ও মডার্নার টিকাটাই দেওয়া হচ্ছে। যে সমস্ত টিকা ডব্লিউএইচও ১২ থেকে ১৭ বছরের বয়সী ছেলে-মেয়েদের দেওয়ার অনুমতি দেবে, আমরা সেই টিকাগুলোই দেব।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল একটি মিটিং হয়েছে, যেখানে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষকদের টিকা দিয়েছি, অনেক ছাত্রকে দেওয়া হয়েছে। মেডিকেল কলেজের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের আমরা টিকা দিয়েছিলাম।’ 

টিকা দেওয়ার কার্যক্রম এ মাস থেকে আরও বেগবান হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এ মাসে প্রায় আড়াই কোটি টিকা পাব আমরা। এটা একদম কনফার্ম মোটামুটি। এই আড়াই কোটি টিকা সারা দেশে বিভিন্ন পর্যায়ে দেব।’

করোনা মহামারির সংক্রমণ রোধে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এজন্য শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে।

এসএইচআর/এসএম/জেএস