ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্রতি মাসে ১ কোটিসহ প্রায় ২ কোটি টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি জানান, ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের প্রতি সপ্তাহে ১ দিন স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
শিশুদের টিকার আওতায় আনার কাজও চলছে।

স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, আমাদের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা মজুদ আছে এবং আমরা সামনের দিনগুলোতে প্রয়োজনীয় টিকা পাওয়ার উৎস নিশ্চিত করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি মাসে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে একটি টিকা দেওয়াসহ প্রায় দু'কোটি টিকা দেওয়ার একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এ লক্ষ্যে টিকাদান কর্মসূচিকে আরও কীভাবে সম্প্রসারিত করা যায়, সে ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট আছি।

খুরশীদ আলম বলেন, আপনারা জানেন, ইতিমধ্যে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের গণটিকা প্রয়োগের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশেষত স্কুলগুলো। সেগুলোতে অনেক বেশি মানুষকে একসঙ্গে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু স্কুলসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় সে জায়গাগুলো থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে। এজন্য আমরা চিন্তা করছি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি উপজেলা অডিটোরিয়ামে এবং উপজেলায় যেকোনো বড় হলরুমে টিকা প্রয়োগের ব্যবস্থা করতে। আর ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির পাশাপাশি স্বাস্থ্য সহকারীদের মাধ্যমে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে আমরা টিকা দেব। নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম থাকবে না প্রতি সপ্তাহে এমন দুই দিন কোভিড-১৯ এর টিকা আমরা দিয়ে যাব।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা টিকাদান কেন্দ্র হিসেবে ইউনিয়ন প্রতি একটি ইউনিয়ন সাব সেন্টার, একটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করবেন। তারা টিকা কার্যক্রমের বিষয়ে প্রচারণা চালাবেন।

টিকাপ্রত্যাশীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেজিস্ট্রেশন করবেন এবং এসএমএস পাওয়া সাপেক্ষে সশরীরে নির্ধারিত কেন্দ্র থেকে টিকা নেবেন। এক্ষেত্রে আইসিটি বিভাগ ইউনিয়নের নাম উল্লেখ করে টিকা গ্রহণের জন্য এসএমএসের ব্যবস্থা করবেন।

টিআই/জেডএস