প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশে প্রথম টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামী ২৭ জানুয়ারি (বুধবার)। আর এই টিকা কার্যক্রম পরিচালনায় আইসিটি বিভাগের সহায়তায় ভ্যাকসিন বিষয়ক ‘সুরক্ষা’ অ্যাপ প্রস্তত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নির্মাণকাজও ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। 

এছাড়াও ভ্যাকসিনের উৎস, ভ্যাকসিনেশন নিয়ে পরিকল্পনা, কার্যক্রম, ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যসহ বিস্তারিত উল্লেখ করে একটি সুরক্ষা অ্যাপ সহায়িকাও প্রস্তুত করা হয়েছে।

সহায়িকায় বলা হয়েছে, কুর্মিটোলা হাসপাতালে একজন নার্সকে দিয়ে এই ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ২৮ জানুয়ারি ঢাকার আরও ৪টি হাসপাতালে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) মোট ৬৯০ জনকে এই টিকা দেওয়ার মাধ্যমে প্রথম পর্বের টিকা কার্যক্রম শেষ হবে।

প্রথম পর্বে টিকা দেওয়ার পর এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, কার্যকারিতা দেখে দেশব্যাপী ভ্যাকসিনেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ৮ ফেব্রুয়ারি।

ভ্যাকসিনের উৎস
ভারত সরকারের শুভেচ্ছা উপহার: ভারত সরকার ইতিমধ্যে অক্সফোর্ড/ অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ও সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ২০ লাখ ডোজ বাংলাদেশ সরকারকে মৈত্রী উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে।

ত্রিপক্ষীয় চুক্তি: সিরাম ইনস্টিটিউট (ভারত), বাংলাদেশ সরকার ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ও সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ কিনেছে। যা প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ হারে বাংলাদেশে পৌঁছাবে।

কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি: কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে বাংলাদেশ তার মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর জন্য ৩ কোটি ৪০ লাখ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন পাবে।

ভ্যাকসিনেশন পরিকল্পনা
ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জাতীয় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা (NDVP) প্রস্তুত করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য জনগোষ্ঠী নির্ধারণ, বাজেট প্রস্তুত, প্রশিক্ষণ সহায়িকা প্রস্তুত ও প্রশিক্ষণ দেওয়া, অনলাইন রেজিস্ট্রেশন, কোল্ড চেইন ব্যবস্থাপনা, প্রচার-প্রচারণাসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

সব সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে গঠিত করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন বিষয়ক জাতীয় কমিটি ও মন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটিরে মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও দেশের সব পর্যায়ে তথা উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও সিটি করপোরেশনে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।

ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম
টিকাদান কেন্দ্র: ৭৩৪৪টি (জেলা সদর/ জেনারেল হাসপাতাল, সরকারি বিশেষায়িত। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর/ জেনারেল হাসপাতাল, সরকারি বিশেষায়িত মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিটি করপোরেশন হাসপাতাল, সিএমএইচ, পুলিশ হাসপাতাল, বিজিবি হাসপাতাল, সচিবালয় ক্লিনিক, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, সংসদ সচিবালয় ক্লিনিক ইত্যাদি) ভ্যাকসিনেশন সেন্টার তালিকা (সংযুক্তি-১)।

টিকাদান দলের গঠন: ২ জন টিকাদানকারী ও ৪ জন স্বেচ্ছাসেবক (মোট ৬ জন)।

২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

২৮ জানুয়ারি কুর্মিটোলা হাসপাতালের পাশাপাশি ঢাকার আরও ৪টি হাসপাতালে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) মোট ৬৯০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। দেশব্যাপী ভ্যাকসিনেশন শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি।

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘সুরক্ষা’
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের প্রোগ্রামারদের একটি দল নিজস্ব উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘সুরক্ষা’ সফটওয়্যারটি প্রস্তুত করেছে। এটি সরকারের কোনো অর্থ ব্যয় ছাড়া প্রস্তুত করা হয়েছে এবং এটি ব্যবহারের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সরবরাহ করা হচ্ছে। নাগরিক নিবন্ধন ও ভ্যাকসিন দেওয়াসহ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সুরক্ষা সফটওয়্যারটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ব্যবহার করতে পারবে। সিস্টেমটির উন্নয়ন এবং পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিভাগ, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), এটুআই এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

‘সুরক্ষা’ ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের প্রধান বৈশিষ্ট্য
১. সেলফ রেজিস্ট্রেশন এর মাধ্যমে অনলাইনে নিবন্ধন ও ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোডের ব্যবস্থা রয়েছে।

২. টিকা গ্রহণ ও দেওয়ার তথ্য অনলাইনের মাধ্যমে যাচাই ও মনিটরিং করা যাবে।

৩. টিকার দুইটি ডোজ সম্পন্ন হওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে সুরক্ষা সিস্টেম থেকে অনলাইনের মাধ্যমে টিকা দেওয়ার সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে।

৪. জাতীয় পরিচয়পত্রের গেটওয়ে ‘পরিচয়’ এর মাধ্যমে নিবন্ধন করা ব্যক্তির পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হবে।

৫. নিরাপদ নিবন্ধন নিশ্চিতকল্পে নিবন্ধন করা ব্যক্তির মোবাইল নম্বরে OTP বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড পাঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে।

৬. SMS এর মাধ্যমে নিবন্ধন করা ব্যক্তিকে টিকা দেওয়ার তারিখ ও তথ্য দেওয়া যাবে।

৭. নাগরিকের টিকা ডোজ গ্রহণ সম্পর্কিত তথ্য QR code scan এর মাধ্যমে নেওয়া এবং সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে।

৮. টিকা দেওয়া সম্পর্কিত বিভিন্ন তালিকা, পরিসংখ্যান ও প্রতিবেদন প্রস্তুতের ব্যবস্থা আছে।

৯. জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্ম তারিখ ব্যবহার করে নিবন্ধন সম্পন্ন করা যাবে।

যেভাবে ‘সুরক্ষা’ ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কাজ করবে
১. www.surokkha.gov.bd ওয়েব পোর্টালে প্রবেশ করতে হবে।

২. ‘নিবন্ধন’ বাটনে ক্লিক করে নাগরিক শ্রেণী সিলেক্ট করে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিতে হবে। তারপর যাচাই বাটনে ক্লিক করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। পরিচয় যথাযথ হলে বাংলা ও ইংরেজিতে নাম ফর্মে দেখা যাবে। দীর্ঘমেয়াদি রোগ, কোমরবিডি আছে কি না, হ্যাঁ অথবা না সিলেক্ট করতে হবে।

৩. নিবন্ধনকারী নাগরিকের পেশা এবং সরাসরি কোভিড-১৯ কাজের সঙ্গে জড়িত কি না তা নির্বাচন করতে হবে।

৪. যে মোবাইলে টিকার তথ্য ও ভেরিফিকেশন এসএমএস পেতে চান তা নিবন্ধনের সময় দিতে হবে।

৫. ফর্মে বর্তমান ঠিকানা ও টিকা কেন্দ্র নির্বাচন করতে হবে।

৬. সব শেষে মোবাইলে পাওয়া OTP দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।

৭. নিবন্ধন সম্পন্ন হয়ে গেলে ‘টিকা কার্ড সংগ্রহ’ বাটনে ক্লিক করে কার্ড সংগ্রহ করতে হবে।

৮. নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে নির্ধারিত সময়ে এমএমএস এর মাধ্যমে টিকা নেওয়ার তারিখ ও কেন্দ্র জানানো হবে।

৯. টিকা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় প্রিন্টেড টিকা কার্ড ও জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি সঙ্গে নিতে হবে।

অন্যান্য
১. ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার অগ্রাধিকারভুক্ত তালিকায় থাকা জনগোষ্ঠীর অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য আইসিটি বিভাগ ‘সুরক্ষা ওয়েব পোর্টোল’ প্রস্তুত করা হয়েছে।

২. প্রথম মাসে ৬০ লাখ জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

৩. ভ্যাকসিন বিষয়ক প্রচার প্রচারণার দায়িত্ব পালন করবে তথ্য মন্ত্রণালয়।

৪. ভ্যাকসিন পরিবহন, সংরক্ষণ ও দেওয়ার সময় সার্বিক নিরাপত্তা দেবে পুলিশ বাহিনী।

৫. কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুমোদিত হয়েছে। বর্তমানে কিছু পরিমার্জনা সাপেক্ষে তা ফের অর্থ মন্ত্রণালয় বরাবর পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রস্তুত সুরক্ষা অ্যাপ: নিবন্ধন করবেন যেভাবে
টিকা পেতে আগ্রহী সবাইকে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। তবে তার আগেই তালিকা ঠিক করতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামের তালিকা চেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ১৩ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জেলা প্রশাসকদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। মোবাইল অ্যাপ চালু হওয়ার পর তালিকা অনুযায়ী নিবন্ধন করা হবে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সেন্টারের (এমআইএস) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আইসিটি বিভাগ অ্যাপ প্রস্তুত করেছে। তারা জানিয়েছে আজ অ্যাপটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী অফিসে অ্যাপটি হস্তান্তর করা হবে।’

গত বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, ‘সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মটি হবে একটি ওয়েব অ্যাপলিকেশন। এটি www.surokkha.gov.bd ঠিকানায় থাকবে। এটা হোস্ট করা হবে দেশের ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারে। ফলে যতজন এটাতে নিবন্ধন করতে চাইবেন, সেভাবে এর সক্ষমতা বাড়ানো যাবে। নিবন্ধনের পর সেখান থেকেই জানা যাবে, কবে কখন টিকা নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই অ্যাপে দেশের নাগরিকদের ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে। স্মার্টফোনেও অ্যাপলিকেশনটি ব্যবহার করে ভ্যাকসিনের জন্য নাম নিবন্ধন করা যাবে।’

ওয়েব অ্যাপে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের নিবন্ধন করা যাবে। ফলে কোনও ধরনের সমস্যা ছাড়াই নিবন্ধন সম্পন্ন করা যাবে।

জুনাইদ আহমেদ পলক

আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম জানান, যেহেতু অপ্রাপ্তবয়স্কদের ওপর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়নি, তাই ১৮ বছরের কম বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করা হবে না। পরিচয় যাচাইয়ে এই অ্যাপ্লিকেশনে ১৮টি শ্রেণী করা হয়েছে, যার একটি সিলেক্ট করার পর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্মতারিখ দিয়ে নিবন্ধন শুরু করতে হবে। এই ১৮টি শ্রেণীর মধ্যে রয়েছে নাগরিক নিবন্ধন, সরকারি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী; অনুমোদিত সব বেসরকারি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা-কর্মচারী; প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত সব সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা কর্মকর্তা-কর্মচারী; বীর মুক্তিযোদ্ধা; সম্মুখসারির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য; সামরিক ও আধা সামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় অপরিহার্য কার্যালয়ের কর্মীরা।

এছাড়া রয়েছেন সম্মুখসারির গণমাধ্যমকর্মী; নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি; সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার সম্মুখসারির কর্মকর্তা-কর্মচারী; ধর্মীয় প্রতিনিধি (সব ধর্ম); মৃতদেহ সৎকারে নিয়োজিত ব্যক্তি; বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, পয়ঃনিষ্কাশন ও ফায়ার সার্ভিসের মতো জরুরি সেবার সম্মুখসারির কর্মী; রেল স্টেশন, বিমান বন্দর ও নৌ বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী; জেলা ও উপজেলায় জরুরি জনসেবায় সম্পৃক্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যাংক কর্মী ও প্রবাসী অদক্ষ শ্রমিক।
 
জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর যাচাই করে সব ঠিক থাকলে স্ক্রিনে নিবন্ধনকারীর নাম দেখানো হবে বাংলা ও ইংরেজিতে। সেখানে একটি ঘরে একটি মোবাইল ফোন নম্বর চাওয়া হবে, যে নম্বরে তাকে পরে টিকাদান সংক্রান্ত তথ্য এসএমএস করা হবে।

মোবাইল নম্বর দেওয়ার পর একটি ঘর পূরণ করতে হবে, যেখানে জানাতে হবে নিবন্ধনকারীর দীর্ঘমেয়াদি রোগ বা কোনো জটিলতা আছে কি না, থাকলে কোন কোন রোগ আছে। সেখানে আরেকটি ঘরে জানাতে হবে পেশা এবং তিনি কোভিড-১৯ সংক্রান্ত কাজে সরাসরি জড়িত কি না।

তারপর বর্তমান ঠিকানা ও কোন কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে ইচ্ছুক তা সিলেক্ট করতে হবে। সব শেষে ফরম সেভ করলে নিবন্ধনকারীর দেওয়া মোবাইল নম্বরে পাঠানো হবে ওটিপি। সেই ওটিপি কোড দিয়ে ‘স্ট্যাটাস যাচাই’ বাটনে ক্লিক করলে নিবন্ধনের কাজ শেষ হবে।
 
নিবন্ধন হয়ে গেলে টিকার প্রথম ডোজের তারিখ ও কেন্দ্রের নাম এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্ম তারিখ দিয়ে লগ ইন করে এসএমএস এর মাধ্যমে পাওয়া ওটিপি কোড দিয়ে টিকা কার্ড ডাউনলোড করতে হবে।

এসএমএস-এ যে তারিখ দেওয়া হবে, সেই তারিখে টিকা কার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে কোভিড-১৯ এর টিকা নিতে পারবেন নিবন্ধনকারীরা।

টিআই/জেডএস