আজ বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ব সিওপিডি (ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ) দিবস। বিশ্বব্যাপী ফুসফুস সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়াতে ফোরাম অব ইন্টারন্যাশনাল রেসপিরেটরি সোসাইটি দিনটিকে ফুসফুস দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। 

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ দিবসটি পালিত হচ্ছে।

সিওপিডি শ্বাসতন্ত্রের একটি জটিল রোগ। শ্বাসনালীর প্রদাহজনিত এই রোগটি একবার হলে ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বাড়তে থাকে। মানে তার শ্বাসকষ্ট, কাশি, দম নিতে কষ্ট হওয়া, কফ পড়া ইত্যাদি বেশি হয়ে থাকে। এই রোগ ধূমপায়ীদের বেশি হতে দেখা যায়। এর রোগটি একবার হলে স্থায়ীভাবে পরিপূর্ণ সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সিওপিডি রোগে বছরে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়, যা মোট মৃত্যুর শতকরা পাঁচ ভাগ। এশিয়া এবং আফ্রিকা অঞ্চলের দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। 

বাংলাদেশে সিওপিডি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। দেশের মোট জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশই ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত। দেশের প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষ অ্যাজমা রোগে ভুগছেন। 

বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ফুসফুসের প্রদাহসহ শ্বাসকষ্টজনিত নানা রোগের প্রধান কারণ ধূমপান ও বায়ুদূষণ। দেশে চল্লিশোর্ধ্ব বয়সী মানুষের ২১ শতাংশ সিওপিডিতে ভুগছে।

সিওপিডির প্রধান কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বায়ুদূষণ ও ধূমপানকে দায়ী করেছেন। তাদের অভিমত, ধূমপান ও বায়ুদূষণ রোধ করা গেলে সিওপিডি ৮০ শতাংশ প্রতিরোধ করা সম্ভব। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, শীর্ষ ৫টি প্রাণঘাতী রোগের মধ্যে রয়েছে- সিওপিডি, নিউমোনিয়া, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং পক্ষাঘাত। এই ৫ রোগের মধ্যে দুটি রোগই হল ফুসফুস সংক্রান্ত। বাংলাদেশের ফুসফুসের প্রধান রোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- সিওপিডি, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, যক্ষ্মা, আইএলডি, লাং ক্যান্সার।

এইচকে