দ্রুত ছড়াচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। টিকার ডাবল ডোজ নেওয়ার পরও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে কারও কারও মতে, এভাবে সংক্রমণ বাড়ায় ভালো হচ্ছে। মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ছে।

যদিও চিকিৎসকরা এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তাদের মতে, ওমিক্রনকে হালকাভাবে নিলে বড় ধরনের ভুল হবে। কারণ এরপর ওমিক্রনের হাত ধরে অন্য কোন সমস্যা আসতে পারে, সেটা কেউ জানেন না।

একই মত দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সম্প্রতি সংস্থাটির কোভিড গবেষক দলের প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখোভে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, লাগাম ছাড়াভাবে ওমিক্রনে সংক্রমণ হওয়াটা মোটেই কোনো কাজের কথা নয়। বরং এটিকে আটকে রাখা উচিত।

মারিয়া বলেন, আগে বুঝতে হবে, ঠিক কী কী কারণে ওমিক্রন বাড়ছে। এর পেছনে রয়েছে, তিনটি কারণ। সেগুলো হচ্ছে-

অনেকটা মিউটেশন হয়েছে কোভিডের। নতুন রূপটি এখন সহজেই মানুষের শরীরের কোষের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। সহজেই শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে ‘ইমিউনি ইস্ক্যাপ’ বলা হয়, তা পেয়ে গেছে ওমিক্রন। এর অর্থ, এখন করোনার এই রূপটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সহজেই পাশ কাটিয়ে যেতে পারে। কোভিডে সংক্রমিত হলেও শরীরে যে অ্যান্টিবডি থাকে, তাকে ফাঁকি দিতে পারে এই ওমিক্রন। এমনকি টিকা নেওয়া থাকলেও, তার অ্যান্টিবডিকে ফাঁকি দিতে পারছে এটি।

এটি আপার রেসপায়রোটেরি ট্র্যাকে সংক্রমিত হচ্ছে। করোনার অন্য ধরনগুলো ফুসফুসে বেশি মাত্রায় ছড়াতো। ফলে এক জন থেকে অন্য জনে পৌঁছোতে যতটা সময় লাগত। ওমিক্রনের ক্ষেত্রে লাগছে তার চেয়ে অনেক কম সময়।

মূলত এই তিনটি কারণেই ওমিক্রন এত দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে মত দিয়েছেন ডব্লিউএইচওর এই কর্মকর্তা। এছাড়া উত্তর গোলার্ধে এখন শীতকাল। এ কারণেও বাড়ছে সংক্রমণ।

এমএইচএস