বাচ্চা ও বয়স্কদের জন্য সর্দি-কাশির সমস্যা নিয়মিত একটা ঘটনা। খুব সহজেই তাদের কাবু করে ফেলে ঠান্ডা লাগা, গলা ব্যথা।  এ থেকেই রেহাই পাওয়ার কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। শতভাগ ক্ষেত্রে না হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে কাজে লেগে যেতে পারে এগুলো।   

কাজে লাগান হলুদ
বাঙালির রান্নাঘরে খুব সহজেই পাওয়া যায় হলুদ। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বেশ ভালো কাজ দেয় এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। শীতের রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করাটা তাই বেশ কার্যকরী হতে পারে।  

আদা চায়ের উপকারিতা 
চায়ের মধ্যে যাদের আদা চা পছন্দ, তাদের জন্য সুখবর। এই চা কিন্তু আপনার বিশেষ উপকারে আসতে পারে। আর যাদের আদা চা পছন্দ নয় তারাও জেনে নিন আদা চায়ের উপকারিতা। জ্বর-ঠান্ডায় মুখের স্বাদ চলে যায়, হারানো সেই স্বাদ ফিরিয়ে আনতে বেশ উপকারী আদা চা। শুধু স্বাদে ফেরানোর কাজেই যে লাগে তা নয়, সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতেও কাজে দেয় আদা চা। আবার নিয়মিত কিছুদিন এই চা পান করলে তা শ্বাসনালি থেকে কফ বের হতে সাহায্য করে।  

মধু-দারুচিনি-লেবুর জাদু 
সাধারণ সর্দি এবং কাশির জন্য ঘরোয়া সমাধানগুলোর একটি হলো লেবু, দারুচিনি আর মধুর মিশ্রণ। কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার ভালো একটি উপায় এটি, আবার বানিয়ে ফেলাও তুলনামূলক সহজ। আধা চামচ মধুতে কয়েক ফোঁটা লেবু এবং অল্প একটু দারুচিনি মিশিয়েই বানিয়ে ফেলা যায় এই সিরাপ। 
 
গরম জলের বাষ্প
পানি গরম করে রেখে শ্বাসের মাধ্যমে বাষ্প নিলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। সাইনাসের চাপ কমাতেও সাহায্য করতে পারে। পানিতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে নিলেও বাড়তি উপকার মেলে। 

উপকার দেবে চিকেন স্যুপ 
অনেকেরই পরামর্শ থাকে ঠান্ডার সময় সর্দি-কাশির থেকে বাঁচতে স্যুপ খেতে। এই স্যুপের মধ্যে চিকেস স্যুপের কথা বিশেষষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ এক তো চিকেন স্যুপ বেশ সুস্বাদু, তার সঙ্গে সব বয়সের মানুষের জন্য এটা উপকারী। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে সব্জির সঙ্গে মুরগির স্যুপ দেহের শ্বেত রক্তকণিকা নিউট্রোফিলের গতিবিধি কমিয়ে দিতে প্রশংসনীয় ভূমিকা নেয়। যা আপনার শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সহায়ক। এছাড়া শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের লক্ষণ কমায় চিকেন স্যুপ।  

বি.দ্র. : স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

এনএফ