টানা পঞ্চম দিনের মতো ইউক্রেনজুড়ে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। একইসঙ্গে সংকট নিরসনে বেলারুশ সীমান্তেও আলোচনায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছে উভয়পক্ষ। পাল্টাপাল্টি হামলা ও আলোচনার এই সমান্তরাল গতিপথের মধ্যেই উভয়পক্ষের বৈঠক যেখানে আয়োজন করা হয়েছে, সেখানকার একটি ছবি সামনে এনেছে স্বাগতিক দেশ বেলারুশ।

দেশটি বলছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের মধ্যে বৈঠকের জন্য একটি ভেন্যু প্রস্তুত করেছে তারা। সোমবারই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। রোববার বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে ফোনালাপের পর এই বৈঠকের কথা নিশ্চিত করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নিজেই।

রোববার ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তবর্তী প্রিপিয়াত নদীর তীরে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনার সময় এবং আলোচনায় অংশ নেওয়া ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল সেখানে যাওয়া ও আসার সময়, বেলারুশ ভূখণ্ডে থাকা সব বিমান, হেলিকপ্টার এবং ক্ষেপণাস্ত্র বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন লুকাশেঙ্কো।

পরে সোমবার সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে দেওয়া এক বিবৃতিতে বেলারুশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বেলারুশে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের বৈঠকের একটি ভেন্যু প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিনিধিরা এখানে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর সঙ্গে রাশিয়া ও ইউক্রেনের পতাকা সম্বলিত লম্বা একটি টেবিলের ছবিও পোস্ট করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

তবে এই বৈঠক ঠিক কখন শুরু হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো সময় উল্লেখ করা হয়নি। বেলারুশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনাতোলি গ্লাজ জানিয়েছেন, ‘বৈঠকস্থলে উভয়পক্ষের সকল প্রতিনিধি পৌঁছানোমাত্রই আলোচনা শুরু হবে।’

এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে এই আলোচনায় কোনো ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউক্রেন। এর পাশাপাশি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও জানিয়েছেন যে, এই বৈঠক থেকে কোনো ফলাফল আসবে বলে মনে করেন না তিনি।

জেলেনস্কির ভাষায়, ‘আমি সত্যিই বিশ্বাস করি না যে, এই বৈঠক থেকে কোনো ফলাফল আসবে। কিন্তু চেষ্টা করে দেখা যাক।’

উল্লেখ্য, রোববার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বেলারুশে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তবে পরে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে টেলিফোন আলাপে আলোচনায় সম্মতি জানান তিনি।

এরপরই ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা বেলারুশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন বলে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের শীর্ষ সহযোগী ও রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের প্রধান ভ্লাদিমির মেডিনস্কি নিশ্চিত করেন।

টিএম