উত্তরাখণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬
নিখোঁজদের উদ্ধারে নিয়োজিত কর্মীদের তৎপরতা/ ছবি: সংগৃহীত
ভারতের উত্তরাখণ্ডের চমোলি জেলার জোশীমঠ এলাকায় হিমবাহ ভেঙে সৃষ্ট তুষারধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৬ জন। এছাড়া এখন পর্যন্ত ১৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে কারতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, রোববার আকস্মিক ওই জলোচ্ছ্বাসের সময় জোশীমঠের তপোবন বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নিকটবর্তী সুড়ঙ্গে আটকে পড়েন বহু শ্রমিক। তাদের অনেকেই এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া জলোচ্ছ্বাসে ওই এলাকার ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটিও ধ্বংস হয়ে গেছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার রাত পর্যন্ত ২৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধারের কথা জানান উত্তরাখণ্ড প্রদেশের পুলিশ প্রধান অশোক কুমার।
অন্যদিকে আলজাজিরা জানিয়েছে, নিখোঁজ শ্রমিকদের উদ্ধারে সামরিক বাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী এবং পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত দুই হাজার সদস্যের একটি দল কাজ করছে। যারা নিখোঁজ রয়েছেন, তাদের বেশিরভাগই দুটি উন্নয়ন প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন। উত্তরাখণ্ডের ওই অঞ্চলে ভারত সরকার বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
বিজ্ঞাপন
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, উত্তরাখণ্ডের চমোলি জেলার জোশীমঠ এলাকায় হিমবাহ ভেঙে সৃষ্ট তুষারধস ও জলোচ্ছ্বাসের স্রোতে নদীর বাধ, নির্মাণ যন্ত্রপাতি এবং ছোট ছোট ব্রিজ ভেসে যাচ্ছে।
ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাছে অবস্থিত রানি গ্রামের সাবেক পঞ্চায়েত সদস্য সংগ্রাম সিং রাওয়াত স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পানির স্রোতে সবকিছু ভেসে গেছে। মানুষ, গবাদিপশু, গাছপালা- সব।’
ইতোমধ্যেই নিহতদের পরিবারকে ৪ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। সোমবার তিনি জানান, ‘উদ্ধারকারীরা সবরকম চেষ্টা করে মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। ইন্দো-তিব্বেতান বর্ডার পুলিশের (আইটিবিপি) সদস্যরা উদ্ধারের কাজে নেমে পড়েছেন। সেনা নামানো হয়েছে।’
কেন এই বিপর্যয় হলো, তা খতিয়ে দেখতে বিজ্ঞানীদের একটি দল গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে নিহতদের পরিবারকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আলাদা করে আরও ২ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়।
সূত্র: অলজাজিরা
টিএম