যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে একমত হয়েছেন দেশটির আইনসভা কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট সদস্যরা। সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা চাক শুমার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী সিনেটে যদি দেশটির কোনো রাষ্ট্রপতির অভিশংসন প্রক্রিয়া চলে সেক্ষেত্রে তার পক্ষে ও বিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ১৬ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। এরপর দু’পক্ষের আইনজীবীদের প্রশ্ন করার পর্যায় আসে সিনেট সদস্যদের।

প্রশ্নোত্তর র্ব শেষে প্রেসিডেন্টের আনীত অভিযোগের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেন সদস্যরা। সেই ভোটের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয় প্রেসিডেন্ট দোষী না কি নির্দোষ।

তবে ট্রাম্পের অভিশংসন প্রক্রিয়ায় আইনজীবীদের প্রশ্নোত্তর পর্ব এড়িয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন সিনেট সদস্যরা। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার দেওয়া ওই বিবৃতিতে চাক শুমার এ সম্পর্কে বলেন, ‘সিনেটের সকল সদস্য যথাসম্ভব দ্রুততার সঙ্গে একটি সুষ্ঠু ও যথাযথ অভিশংসন প্রক্রিয়া শেষ করার পক্ষে একমত হয়েছেন।’

গত ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটলে জো বাইডেনকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যৌথ অধিবেশন বসেছিল কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং উচ্চকক্ষ সিনেট সদস্যদের। অধিবেশন চলাকালে সেখানে হামলা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের কয়েক হাজার উন্মত্ত সমর্থক। ওই দাঙ্গায় পুলিশ সদস্যসহ নিহত হয়েছিলেন ৬ জন।

দেশটির রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক সেই দাঙ্গায় নিজ সমর্থকদের উস্কানি দেওয়ার জন্য ট্রাম্পকে সরাসরি দায়ী করে সিনেটে তার অভিশংসনের প্রস্তাব পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সরকারি দল ডেমোক্র্যাট পার্টি। ডেমোক্র্যাট নেতাদের দাবি, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পক্ষে ‘ভুরি ভুরি’ প্রমাণ রয়েছে তাদের হাতে।

বিরোধী দল রিপাবলিকান সদস্যরা অবশ্য এর বিপক্ষে সরাসরি কোনও কথা না বলেননি। তবে ট্রাম্পের পক্ষের আইনজীবীরা এই অভিশংসনের প্রক্রিয়াকে ‘অযৌক্তিক ও অসাংবিধানিক’ বলে অভিহিত করেছেন।

সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য যদি ট্রাম্পের বিপক্ষে ভোট দেন তাহলে আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না ট্রাম্প। তবে দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন- ট্রাম্পের ক্ষেত্রে এমনটা নাও ঘটতে পারে, কারণ সিনেটের রিপাবলিকান সদস্যরা ট্রাম্পের পক্ষে আওয়াজ না তুললেও তার বিরুদ্ধে ভোট দেবেন- এমন সম্ভাবনা কম।

সূত্র: বিবিসি

এসএমডব্লিউ