করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ‘জিরো কোভিড পলিসি’ গ্রহণ করেছে চীন। তারপরও দেশটিতে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় চীনে পাঁচ হাজার ২৮০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এদিকে দেশব্যাপী ফের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে সাংহাইতে বেশ কয়েকটি স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উত্তর-পূর্ব চীনের বেশ কয়েকটি শহরে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

চীনের প্রায় ১৯টি প্রদেশে নতুন করে ওমিক্রন এবং ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আংশিকভাবে লকডাউন করা হয়েছে জিলিন শহর। আশপাশের কয়েকশো এলাকা সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

গত সপ্তাহে চীনের রাজধানী বেইজিং, প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্র সাংহাইসহ গুয়াংডং, জিয়াংশু, শ্যানডং এবং ঝেজিয়াংয়ের মতো জনবহুল শহরগুলোতে দৈনিক সংক্রমণে উল্লম্ফন ঘটেছে জানিয়েছেন এনএইচসির কর্মকর্তারা। তারা আরও বলেছেন, করোনার সবচেয়ে সংক্রামক ধরন ওমিক্রনের প্রভাবেই দেশটিতে সংক্রমণের সাম্প্রতিক এই বাড়-বাড়ন্ত দেখা দিয়েছে।

অবশ্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় করোনার দৈনিক সংক্রমণ এখনও অনেক কম চীনে। তাছাড়া, নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপরতা বাড়িয়েছে দেশটির প্রশাসনও।

ইতোমধ্যে চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর শেনজেনে অস্থায়ীভাবে যাবতীয় গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন। সেখানকার জনগণকে ‘হোম অফিস’ করার নির্দেশনাও জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এমএইচএস