প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তির শর্ত নিয়ে গণভোট হবে ইউক্রেনে
মিখাইলো পোদোলিয়াক, ছবি : সিএনএন
ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা প্রশমনে যে শান্তিচুক্তির প্রস্তাব এসেছে, তার বিভিন্ন শর্ত সম্পর্কে জনগণের মতামত জানতে গণভোটের আয়োজন করবে ইউক্রেনের সরকার।
মঙ্গলবার ইস্তাম্বুলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য ও দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অন্যতম উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক।
বিজ্ঞাপন
মিখাইলো পোদোলিয়াক বলেন, ‘শান্তিচুক্তির অনুমোদনের আগে এর বিভিন্ন শর্ত নিয়ে (ইউক্রেনে) গণভোট হবে। চুক্তির শর্ত কেমন হবে এবং সেটি কিভাবে কার্যকর হবে সেই মতামত দেবে ইউক্রেনের জনগণ।’
‘দুই দেশের মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে জনগণের মতামতের ওপরই সর্বোচ্চ ভরসা করে ইউক্রেনের সরকার।’
বিজ্ঞাপন
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের আমন্ত্রণে মঙ্গলবার দেশটির ইস্তাম্বুল শহরে বৈঠকে বসেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালের দিকে শুরু হয় এ বৈঠক, শেষ হয় বিকেলে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহকারী ভ্লাদিমির মেডনিস্কি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ইস্তাম্বুলের আলোচনা গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে এবং উভয়দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপনে একটি চুক্তি প্রস্তুতের কাজ শুরু হয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার ৫ দিন পর গত ১ মার্চ বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দর লুকাশেঙ্কোর আমন্ত্রণে দেশটির সীমান্তবর্তী শহর গোমেলে প্রথম শান্তি বৈঠক শুরু হয় রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে।
তারপর থেকে এ পর্যন্ত গোমেলে কয়েকদফা আলোচনায় বসেছেন উভয় দেশের প্রতিনিধিরা। কিন্তু কোনো কার্যকর ফলাফল আসেনি সেসব বৈঠক থেকে।
এই পরিস্থিতিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের আমন্ত্রণে বেলারুশের গোমেল শহর থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে স্থানান্তর করা হয় দুই দেশের প্রতিনিধিদের শান্তি সংলাপ।
মঙ্গলবারের বৈঠকের আগে প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। ভাষণে ইস্তাম্বুলের বৈঠকে যেন গোমেলের পুনরাবৃত্তি না ঘটে, অর্থাৎ আলোচনা যাতে ব্যর্থ না হয় সেজন্য দুই দেশের প্রতিনিধিদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান এরদোয়ান।
সূত্র: সিএনএন
এসএমডব্লিউ