তিউনিশিয়ার উপকূল থেকে সমুদ্রপাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার পথে নৌকা ডুবে নিহত হয়েছেন ১ জন, নিখোঁজ হয়েছেন আরও ৭৫ জন। এছাড়া জীবিত অবস্থায় ২৪ জনকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্টগার্ড বাহিনী।

অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এবং তিউনিশিয়ার নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

বুধবার এক প্রতিবেদনে আইওএমের পক্ষ থেকে বলা হয়, লিবিয়ার উপকূলীয় শহর জাওয়ারা থেকে কয়েকদিন আগে শতাধিক অভিবাসন প্রত্যাশী নিয়ে ইতালির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল নৌকাটি।

পথে তিউনিশিয়া উপকূলের কাছে এসে ডুবে যায় নৌকাটি। তার ফলেই নিখোঁজ হন অন্তত ৭৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী, বাকিদের মধ্যে ২৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে এক অভিবাসন প্রত্যাশীর মরদেহ সাগর উপকূল থেকে উদ্ধার করেছেন তারা।

ভূমধ্য সাগরের এক তীরে উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়া ও লিবিয়া, অপর তীরে রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। বৈধ কাগজপত্রহীন অভিবাসন প্রতাশীরা চোরাপথে ইউরোপে প্রবেশ করতে যে দুই জলপথ ব্যবহার করেন, ভূমধ্য সাগর তার একটি।

অপর পথটি হলো আটলান্টিক মহাসাগর। মহাসাগরের মরক্কো উপকূল থেকে প্রতি বছর অনেক অভিবাসন প্রত্যাশী স্পেনের উদ্দেশে পাড়ি জমান।

সুদূর অতীত থেকে অভিবাসন প্রত্যাশীরা এ দু’টি পথ ব্যবহার করলেও গত ২০১৫ সাল থেকে এ দুই পথে বাড়তে থাকে বৈধ কাগজপত্রহীন অভিবাসন প্রত্যাশীদের চলাচল। প্রতিবছরই বাড়ছে এই সংখ্যা।

বিদসঙ্কুল এই সমুদ্রযাত্রায় নৌকাডুবির মতো দুর্ঘটনাও ঘটে নিয়মিতই। চলতি বছরের গত কয়েক মাসেই শত শত অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে নৌকা ডুবে।

এসএমডব্লিউ