চিকিৎসার প্রয়োজনে যারা ভারতে যেতে চান, তাদের জন্য ই-ট্যুরিস্ট ভিসা ফের চালু করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। বৃহস্পতিবার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে চিকিৎসার প্রয়োজনে বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতিবছর ভারতে যান। তাদের সুবিধার্থে ই-ট্যুরিস্ট ভিসা চালু করেছিল ভারত সরকার। কিন্তু মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে তা বন্ধ ছিল।

বৃহস্পতিবার হর্ষ বর্ধন বলেন, ‘চিকিৎসার প্রয়োজনে যারা ভারতে আসতে চান, তাদেরকে ইতোমধ্যে আমরা ভিসা দেওয়া শুরু করেছি। এছাড়া তাদের সুবিধার্থে শিগগিরই ই-ট্যুরিস্ট ভিসা প্রদানসহ আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’  

গত একদশকে চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি করেছে ভারত; ফলে প্রতিবছর প্রতিবেশী দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশ থেকে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়া-আসাও বেড়েছে সমানুপাতিক হারে। ২০১৯ সালে এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে চিকিৎসার জন্য বিশ্বের যে ৪১ টি দেশে লোকজন যাতায়াত করেন, সেই তালিকায় ভারতের স্থান পঞ্চম। দেশটির মোট জাতীয় প্রবৃদ্ধির ২২%-২৫% যোগান দেন বাইরের দেশ থেকে আসা চিকিৎসাপ্রার্থীরা।  

কিন্তু করোনা মহামারি দেখা দেওয়ার পর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাইরের দেশের পর্যটকদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিধিনিষেধের মধ্যে পড়ে যান দেশটিতে চিকিৎসার প্রয়োজনে গমনে ইচ্ছুকরাও।

গত ১৬ জানুয়ারি গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে ভারতে। টিকা দেওয়ার তালিকায় প্রথম সারিতে রাখা হয়েছিল স্বাস্থ্যকর্মী ও সম্মুখসারির করোনাযোদ্ধাদের। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ৯৮ লাখ ৫০ হজার স্বাস্থকর্মীকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে।

এদিকে গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ভারতে সংক্রমণের হারেরও নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। দিল্লি, ওড়িষা, জম্মু ও কাশ্মির, ঝাড়খণ্ডসহ ১৬ টি রাজ্যে গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনায় কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এর বাইরে দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৮৮১জন এবং মারা গেছেন ১০১জন।

বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি দেখা দেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ কোটি ৯ লাখ ৬০ হাজার ৭৬৬জন এবং এ রোগে সেখানে মারা গেছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার ১০৪জন।

সূত্র: মিন্ট

এসএমডব্লিউ