পুরোনো ছিঁড়ে যাওয়া জুতো ফেলে দিয়ে নতুন জুতো কিনতে কিনতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন এক ব্যক্তি। জুতোর পেছনে অর্থ ব্যয় কমাতে কী করা যায়, সেই চিন্তা থেকে অদ্ভূত এক কাজ করে বসলেন তিনি। পায়ে এঁকে নিলেন জুতোর ট্যাটু। যা প্রথম দর্শনে যে কেউই বিশ্বাস করবেন, ওই ব্যক্তির পায়ে হয়তো জুতো আছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি পায়ে জুতোর ট্যাটু এঁকে নিয়েছেন।

যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার-ভিত্তিক দক্ষিণ আফ্রিকান ট্যাটু শিল্পী ডিন গুন্থার সম্প্রতি তার কাছে ওই ব্যক্তির পায়ে জুতোর ট্যাটু করে নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। গুন্থার বলেছেন, সম্প্রতি ওই গ্রাহক নিজের পছন্দের নাইকির ট্রেইনার জুতোর ট্যাটুর নকশা করাতে তার কাছে এসেছিলেন।

ইনস্টাগ্রাম পোস্টে গুন্থার বলেছেন, তিনি কয়েক মাস পরপর নতুন জুতো কেনেন। নতুন জুতোর অর্থ পরিশোধ করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। আর এই কারণে নিজের প্রিয় নাইকির জুতো সারাজীবনের জন্য ট্যাটু করিয়ে নিয়েছেন।

ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে প্রায় এক লাখ মানুষ দেখেছেন। ওই ব্যক্তির পায়ে জুতোর ট্যাটুর নকশা করতে গুন্থারের সময় লেগেছে প্রায় ২ ঘণ্টা। পরে দুই পায়ে ট্যাটুর পুরো কাজ সম্পন্ন করতে আরও ৮ ঘণ্টা সময়ের দরকার হয়।

ইনস্টাগ্রামে অনেক ব্যবহারকারী পায়ে ট্যাটুর এই অভিনব ধারণাকে মজার পাশাপাশি উদ্ভাবনী বলেও মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন, বাহ! সাহসী মানুষের দুই পা। তবে কিছু ব্যবহারকারী এই পদ্ধতিতে ট্যাটু আঁকানো কষ্টকর কিনা তা জানতে চেয়েছেন। একজন লিখেছেন, তার জুতো পরে এক মাইলও হাঁটতে চাই না।

দক্ষিণ আফ্রিকার ট্যাটু শিল্পী ডিন গুন্থার পাঁচ বছর আগে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। পরে গ্রেটার ম্যানচেস্টারে ডিজি ট্যাটু আর্ট নামে একটি নিজস্ব স্টুডিও চালু করেন তিনি।

সূত্র: এনডিটিভি।

এসএস