ছবি: এনডিটিভি

ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানের উদয়পুর শহরে দর্জি কানহাইয়া লাল হত্যায় পাকিস্তানের কট্টর ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীগোষ্ঠী দাওয়াত-ই-ইসলামের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। বুধবার এই ঘটনায় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও ৫ জনকে।

পুলিশ ও তদন্তকারী দলের একাধিক সূত্র বুধবার ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানায়, হত্যার প্রধান দুই আসামির একজন— রিয়াস আনসারির সঙ্গে পাকিস্তানি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী দাওয়াত-ই-ইসলামের যোগাযোগ ছিল। তার মোবাইল ফোনে তল্লাশি চালিয়ে সন্দেহভাজন অন্তত ১০টি পাকিস্তানি মোবাইল নম্বর পাওয়া গেছে।

এছাড়া কানহাইয়া লালকে হত্যার আগে রিয়াস আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আইএসের একাধিক হত্যা ও শিরোচ্ছেদ বিষয়ক ভিডিও দেখেছিল বলেও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে।

গ্রেপ্তার অপর আসামি গোস মোহাম্মদের সঙ্গেও নেপাল ও দুবাইভিত্তিক একাধিক সন্ত্রাসীর যোগাযোগ ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

বিজেপির সাবেক মুখপাত্র নুপুর শর্মাকে সমর্থন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বক্তব্য পোস্ট করায় মঙ্গলবার রাজস্থানের উদয়পুরে নিজের দোকানে নৃশংসভাবে খুন হন দর্জি কানহাইয়া লাল। হত্যাকারীরা উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতের পর তার শিরচ্ছেদ করে।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সাধারণ গ্রাহকের বেশে কানহাইয়া লালের দোকানে যায় রিয়াস আনসারি ও গোস মোহামম্মদ নামের দুই যুবক। সেখানে পৌঁছানোর পর কানহাইয়া লাল তাদের একজনের শরীরের মাপ নেওয়ার সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে উপর্যুপরি আঘাতের পর শিরচ্ছেদ করে ওই যুবক, আরেকজন পাশে দাঁড়িয়ে সেই চিত্রের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে।

পরে দোকান থেকে পালিয়ে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ভিডিও পোস্ট করে রিয়াস আনসারি ও গোস মোহাম্মদ। ভিডিও পোস্টে হত্যার ঘটনায় উল্লাস প্রকাশের পাশাপাশি নিজেদের পরবর্তী ‘টার্গেট’ হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম ঘোষণা করে তারা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করার দুই ঘণ্টার মধ্যে রিয়াস আনসারি ও গোস মোহম্মদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার গ্রেপ্তার করা হয় আরও ৫ জনকে। ইতোমধ্যে এই ঘটনা তদন্তে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে রাজস্থানের রাজ্য সরকার।

রিয়াস আনসারি ও গোস মোহাম্মদের ভিডিও ছড়িয়ে পড়া রোধে উদয়পুর জেলায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রেখেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, সহিংসতা ও জনসমাগম রোধে উদয়পুরে কারফিউও জারি করা হয়েছে।

এসএমডব্লিউ