টুইন টাওয়ারে ৯/১১’র হামলার মূলহোতা ওসামা বিন লাদেনের পরিবারের কাছ থেকে নিজের দাতব্য সংস্থার জন্য ১ দশমিক ২১ মিলিয়ন ডলারের অনুদান গ্রহণ করেছেন ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী প্রিন্স চার্লস। ব্রিটিশ দৈনিক সানডে টাইমসের এক প্রতিবেদনে নতুন এই তথ্য সামনে আনা হয়েছে।

যদিও সৌদি আরবে বসবাসরত ওসামা বিন লাদেনের পরিবারের কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে অপরাধে জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তারপরও অনুদান নেওয়ার এই ঘটনায় ৭৩ বছর বয়সী ব্রিটিশ প্রিন্সের দাতব্য সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। 

সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ ওই দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েকজন উপদেষ্টা চার্লসকে ওসামা বিন লাদেনের পরিবারের সদস্য বকর বিন লাদেন এবং তার ভাই শফিকের কাছ থেকে অনুদান না নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। 

ব্রিটেনের আরেক দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান বলছে, ২০১৩ সালে লন্ডনের ক্লারেন্স হাউসে বকরের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন প্রিন্স চার্লস। সেই সময় তিনি বকরের কাছ থেকে নিজের দাতব্য সংস্থা প্রিন্স অব ওয়েলস চ্যারিটেবল ফান্ডের (পিডব্লিউসিএফ) জন্য অনুদান নিতে রাজি হন। তবে প্রিন্স চার্লসের উপদেষ্টা এবং তার অফিসের কর্মকর্তারা এই অনুদানে আপত্তি জানিয়েছিলেন।

পিডব্লিউসিএফের চেয়ারম্যান ইয়ান চেশায়ার বলেছেন, সেই সময় পিডব্লিউসিএফের পাঁচজন ট্রাস্টি বকরের কাছ থেকে অনুদান নিতে সায় দেন।

এদিকে, সৌদি আরবের অপর একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চার্লসের দাতব্য সংস্থার অনুদান নেওয়ার ঘটনায় গত ফেব্রুয়ারিতে তদন্ত শুরু করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। এই অভিযোগের অভ্যন্তরীণ এক তদন্তের পর গত বছর প্রিন্স চার্লসের দাতব্য সংস্থার প্রধান পদত্যাগ করেন।

সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফসেট সৌদি আরবের ওই ব্যবসায়ীর সাথে নিজের গোপন সম্পর্কের তথ্য গণমাধ্যমে আসার পর প্রাথমিকভাবে তিনি পদত্যাগে রাজি হন।

সৌদি আরবের ব্যবসায়িক টাইকুন মাহফুজ মারেই মুবারক বিন মাহফুজ বিশেষ দৃষ্টি পাওয়ার আশায় চার্লসের সংস্থায় প্রচুর অর্থ দান করেন। 

কয়েক দশক ধরে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের উত্তরাধিকারী প্রিন্স অফ ওয়েলসের ঘনিষ্ঠ ছিলেন পিডব্লিউসিএফের সাবেক কর্মী মাইকেল ফসেট। সৌদি ব্যবসায়ী মাহফুজকে রাজকীয় সম্মান, এমনকি যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালানোর অভিযোগ রয়েছে ফসেটের বিরুদ্ধে।

এসএস