ছবি: এনডিটিভি

মালিক চাকরিচ্যুত করেছেন, তাই ক্ষোভে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে মালিকের একটি বিলাসবহুল বাসভবন এক্সকেভেটর (মূলত খননযন্ত্র, কিন্তু এক্ষেত্রে ছোট আকারের বুলডোজার) দিয়ে ভাঙচুর করেছেন ৫৯ বছর বয়সী সাবেক কর্মচারী।

সোমবার কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ অ্যালবার্টার ক্যালগারি শহরে ঘটেছে এই ঘটনা। ক্যালগারির স্থানীয় দৈনিক ক্যালগারি হেরাল্ড তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ওই কর্মচারীকে আটক করায় কোনোক্রমে রক্ষা পেয়েছে বাসভবনটি। নইলে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেত।

ক্যালগেরি হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভাঙচুর হওয়া সেই বাসভবসনটি আসলে একটি মেরিনা (হ্রদের ধারের বিলাসবহুল বাসভবন)। চাকরিচ্যুত প্রৌঢ় সেই মেরিনার রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। সম্প্রতি সেই মেরিনার মালিক গিওর্ডি নিউল্যান্ডস তাকে চাকরিচ্যুত করার পর সোমবার এই কাণ্ড ঘটান তিনি।

বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে থাকা সেই কর্মচারীর নাম উল্লেখ করেনি ক্যালগেরি হেরাল্ড। কী কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, সে সম্পর্কেও প্রতিবেদনে কিছু বলা হয়নি।

তবে যখন তিনি মেরিনাটি ভাঙচুর করছিলেন, সে সময়ে হ্রদের ধারের সড়ক ধরে চলাচল করা লোকজনদের মধ্যে কেউ সেই দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে টুইট করেন। তারপরই রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও। ২ লাখ ৭২ হাজারেরও বেশি টুইটার ব্যবহারকারী ইতোমধ্যে সেই ভিডিওটি দেখেছেন, এবং তাতে লাইক পড়েছে ৫ হাজারেরও বেশি।

অনেকে সেই ভিডিওর নীচে বিভিন্ন মন্তব্যও করেছেন; সেসবের বেশিরভাগই সেই চাকরিচ্যুত কর্মচারীর পক্ষে। একজন নেটিজেন লিখেছেন, ‘অবশেষে শ্রমিক শ্রেনীর লোকজন জেগে উঠছে।’ আরেক নেটিজেন লিখেছেন, ‘আপনার কাছে যদি এই ব্যক্তির (কর্মচারী) সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকে, তাহলে অবশ্যই তা পুলিশকে দেবেন না। সে যা করছে ঠিক করছে।’

মেরিনাটির মালিক গিওর্গি নিউল্যান্ডস ক্যালগারি হেরাল্ডকে জানান, ক্ষয়ক্ষতির শিকার হওয়া মেরিনাটি মেরামত করতে কয়েক লাখ ডলার লাগবে। কিন্তু তারপরও তিনি এই ভেবে স্বস্তিতে রয়েছেন যে, শারীরিকভাবে কারো আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

‘এ ঘটনা রীতিমতো অবিশ্বাস্য,’ ক্যালগারি হেরাল্ডকে বলেন নিউল্যান্ডস।

সূত্র : এনডিটিভি

এসএমডব্লিউ