অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে পাঁচ বাংলাদেশিকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শনিবার (২৭ আগস্ট) ভারতের আসামের দক্ষিণ সালমারা মানকাচার জেলা থেকে তাদের আটক করা হয়।

অবশ্য আটকের পর মানবিক কারণে তাদেরকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে তুলে দিয়েছে বিএসএফ। রোববার (২৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সেন্টিনেল আসাম এবং রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড।

আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে বিএসএফ জানিয়েছে, আটককৃতরা অনিচ্ছাকৃতভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করেছিল এবং মানবিক কারণে তাদেরকে পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৮ আগস্ট একই জেলায় একই ধরনের একটি ঘটনায় অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে দুই বাংলাদেশি নাগরিক। পরে তাদেরকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন দক্ষিণ সালমারা মানকাচরের জেলা ও দায়রা আদালত। এছাড়া আবদুল হাই ও নিরঞ্জন ঘোষ নামের ওই দুই বাংলাদেশি নাগরিককে ১০ হাজার রুপি করে জরিমানাও করেছেন আদালত।

আদালত আরও বলেছে, জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে উভয় বাংলাদেশি নাগরিককে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

এর আগে গত ১২ আগস্ট ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরও তিনজন অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়। আটকের পর তাদেরকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠায় সেখানকার কর্তৃপক্ষ।

তদন্তের সময় জানা যায়, তারা তিনজনই বাংলাদেশের বাসিন্দা এবং ২০১৩ সালে অবৈধপথে সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। আটককৃত ওই তিনজনকে শয়ন দাস (২৫), নিখিলেশ দাস (৩৪) এবং আমিন মোহাম্মদ চৌধুরী (২৭) নামে শনাক্ত করা হয়েছে। মূলত সন্দেহের ভিত্তিতেই অভিবাসন কর্মকর্তারা তাদের আটক করেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চলতি বছরের জুলাইয়ে লোকসভায় জানিয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ২ হাজার ৩৯৯ জন অবৈধ অভিবাসীকে ভারতে জাল নথি ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরে জানায়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে আধার কার্ড বানানো অবৈধ অভিবাসীদের নির্দিষ্ট বিবরণ সামনে এনে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য রাজ্য সরকারগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

টিএম