পাকিস্তানে বন্যার স্রোতে উল্টে গেল বাস
ছবি : জিইও টিভি
পাকিস্তানে বন্যার পানির স্রোতে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে গেছে; এবং বাসটিতে থাকা ৪০ জন যাত্রীর মধ্যে ৩ জন সেই বানের স্রোতে ভেসে গেছেন। সৌভাগ্যবশত ওই মহাসড়কে সরকারের একটি উদ্ধারকারী দল উপস্থিত থাকায় বাকি যাত্রীরা রক্ষা পেয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের মেহার এলাকার মহাসড়কে এই ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম জিইও টিভি।
বিজ্ঞাপন
নিখোঁজ যাত্রীদের কোনো খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।
গত সপ্তাহের শেষ দিকে টানা প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের ফলে সৃষ্ট নজিরবিহীন বন্যায় সিন্ধু প্রদেশের বহু এলাকা এবং অধিকাংশ সড়ক-মহাসড়ক এখনও পানির নিচে রয়েছে। যে কয়েকটি মহাসড়ক এতদিন বন্যার পানিমুক্ত ছিল সেসবের মধ্যে মেহারের এই মহাসড়কটি অন্যতম।
বিজ্ঞাপন
তবে মঙ্গলবার সেই মহাসড়টিও ডুবে গেল। ইতোমধ্যে সেই সড়কে যান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কৃর্তপক্ষ।
আগের দিন সোমবার এই সিন্ধু প্রদেশেই বন্যার্তদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
গত শুক্র, শনি ও রবি— তিন দিনের প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা শুরু হয়েছে পাকিস্তানের তিন প্রদেশ সিন্ধু, খাইবার পাখতুনওয়া ও বেলুচিস্তানে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী— বন্যায় এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১ হাজার ১৩৬ জন, আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৫৭৫ জন।
এছাড়া বন্যার কবলে পড়ে গত কয়েক দিনে পাকিস্তানে মারা গেছে ৭ লাখ ১৯ হাজার ৫৫৮টি গবাদি পশু, ৯ লাখ ৯২ হাজার ৮৭১টি বাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশটির এক তৃতীয়াংশ এলাকা বন্যার পানির নিচে আছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। সিন্ধু, বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনওয়ার লাখ লাখ মানুষ বর্তমানে খাদ্য ও আশ্রহীন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।
সরকার ইতোমধ্যে পাকিস্তানের ৬৬টি জেলাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘দুর্যোগের শিকার’ বলে ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে বেলুচিস্তানের ৩১টি, সিন্ধ প্রদেশের ২৩টি, খাইবার পাখতুনখোয়ার (কেপি) নয়টি এবং পাঞ্জাবের তিনটি জেলা রয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় দুর্যোগ-ঘোষিত জেলার সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র : জিইও টিভি
এসএমডব্লিউ