আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে অবস্থিত রুশ দূতাবাসের কাছে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২০ জন পর্যন্ত মানুষ নিহত বা আহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রুশ বার্তাসংস্থা স্পুটনিক।

অন্যদিকে কাবুলের রুশ দূতাবাসের কাছে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আরেক বার্তাসংস্থা রয়টার্স। তবে পুলিশের দাবি, হামলাকারী তার লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই তাকে শনাক্ত করা হয় এবং গুলি করে হত্যা করা হয়।

রাশিয়ার বার্তাসংস্থা স্পুটনিক নিউজ জানিয়েছে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের সপ্তম জেলার দার-উল-আমান রোডে অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাসের পাশে একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, একজন কূটনীতিক রাশিয়ান ভিসার জন্য আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের তালিকা ঘোষণা করতে বাইরে এলে বিস্ফোরণটি ঘটে।

ওই সূত্রটি জানিয়েছে, ‘বিস্ফোরণের কারণে ১৫ থেকে ২০ জন নিহত বা আহত হয়েছেন।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা স্পুটনিককে আরও জানিয়েছেন, হামলায় মৃতের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাতে পারে।

অন্যদিকে পুলিশের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী হামলা চালিয়েছে। ক্ষমতাসীন তালেবান কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিস্ফোরণের বিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

রয়টার্স বলছে, সোমবার কাবুলে রাশিয়ান দূতাবাসের প্রবেশপথের কাছে একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বিস্ফোরণ ঘটায়। আফগান পুলিশ জানিয়েছে, দূতাবাসের গেটের কাছে আসার সময় সশস্ত্র রক্ষীরা হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করে।

যেখানে হামলা হয়েছে সেখানকার পুলিশ প্রধান মৌলভী সাবির রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আত্মঘাতী হামলাকারী লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই রুশ দূতাবাসের (তালেবান) রক্ষীরা তাকে চিনতে পারে এবং গুলি করে হত্যা করে... এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনো তথ্য নেই।’

গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে আফগানিস্তান তালেবান গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস দেশটিতে প্রায়ই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গত মাসে কাবুলের উত্তর অংশে একটি মসজিদে বড় বিস্ফোরণের ঘটনায় কমপক্ষে ২১ জন নিহত এবং ৩৩ জন আহত হয়।

এক বছরেরও বেশি সময় আগে তালেবানরা দেশটির দখল নেওয়ার পর কাবুলে দূতাবাস খোলা রাখা কয়েকটি দেশের মধ্যে রাশিয়া অন্যতম। যদিও মস্কো তালেবানের সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয় না, তবে পেট্রোল এবং অন্যান্য পণ্য সরবরাহের চুক্তি নিয়ে তালেবান কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সরকার।

টিএম